দেশে সোনার দামে নতুন রেকর্ড হচ্ছে একের পর এক। বিশ্ববাজারে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় দেশের বাজারেও নতুন করে এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে আজ শুক্রবার থেকে সোনার দাম বাড়ছে ভরিতে ২ হাজার ৯১৬ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৭৩ হাজার টাকা। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের এটিই সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার স্বর্ণের নতুর দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বাড়লো সোনার দাম। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই অলংকার তৈরির এ ধাতুর দাম এখন আকাশচুম্বী। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারেও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
সংগঠনের সভাপতি দিলিপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, বিশ্ববাজারে গত এক মাসে ১৩০ ডলার দাম বেড়েছে। দুই মাসে বেড়েছে ২০০ ডলার। গত ছয় মাসে সোনার দাম বেড়েছে মোট ৪২৫ ডলার। এ কারণে দেশের বাজারেও এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, গত তিনদিনে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে ১০০ ডলার। করোনাভাইরাসের জন্য ব্যবসা স্থবির। অনেকে নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গা পাচ্ছেন না। এই আস্থাহীনতার কারণেই সোনাকে একমাত্র ভরসা মনে করে কিনছেন কেউ কেউ। চাহিদা বাড়ার কারণেই দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এখন আমদানির সুযোগ দেওয়া হলেও পুরোপুরি সুবিধা পেতে আরও সময় লাগবে। সবাই যখন আমদানি করবে তখন আন্তর্জাতিক বাজার দরেই দেশের বাজারেও সোনা বেচাকেনা হবে।
বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, সবচেয়ে ভাল মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) শুক্রবার থেকে বিক্রি হবে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর দাম ছিল ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা বিক্রি হবে ৬৯ হাজার ৬৩৪ টাকা দরে, যা আগে ছিল ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হবে ৬০ হাজার ৮৮৬ টাকা দরে, যা আগে ছিল ৫৭ হাজার ৯৭০ টাকা। আর সনাতনি সোনা প্রতি ভরি বিক্রি হবে ৫০ হাজার ৫৬৩ টাকা দরে, যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছিল ৪৭ হাজার ৫৮৯ টাকা।
এদিকে রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২১ ক্যাডমিয়ামের প্রতি ভরি রুপার বিক্রয়মূল্য ৯৩৩ টাকা।