যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাসে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে । শুক্রবারের (২৪ জুলাই) মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকরের বাধ্যবাধকতা দিয়েছে মার্কিন সরকার। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এটিকে রাজনৈতিক উস্কানি বলে উল্লেখ করেছে চীন। খবর বিবিসি।
বুধবার (২২ জুলাই) দেয়া এই নির্দেশ নিজেদের মেধাস্বত্ব রক্ষায় একটি পদক্ষেপ বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এ সিদ্ধান্তকে আপত্তিজনক এবং অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন।
চীনের কনস্যুলেন্টের সামনে কয়েকশ মানুষ হঠাৎ করে কাগজ পুড়িয়ে বিক্ষোভ করার অল্প কিছুক্ষণ পর মার্কিন সরকার এই নির্দেশ দেয় বল জানায় কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনের ৫টি কনস্যুলেট ভবন রয়েছে। যার মধ্যে টেক্সাসের হাউস্টন শহরেরটি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো। এটি ১৯৭৯ সালে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এটি স্থাপন করে। ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস রয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে নানা ইস্যুতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য ও হংকং ইস্যুতে বেইজিংয়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্বে করোনাভাইরাসের বিস্তারের জন্য চীনকে দায়ী করে দেয়া বক্তব্যও দু’দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করে চীন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা তথ্য চুরির জন্য হ্যাকারদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। আর এই অভিযোগেই এবার টেক্সাসে অবস্থিত চীনের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো।
বুধবার সকালে চীনের রাষ্ট্রদূত মার্কিন নীতি নিয়ে সমালোচনা করার কয়েক ঘণ্টা পর এই নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তাৎক্ষণিক এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দু’দেশের সম্পর্ক।