আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘দ্য ল্যানচেটে’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের আরও ২০ টি দেশে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ চিন-ও। এশিয়ার প্রধান শক্তিশালী দেশটিতে জনসংখ্যা কমে দাঁড়াতে পারে ৭৩ কোটিতে। পাশাপাশি জাপান, স্পেন, ইতালি, থাইল্যান্ড, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পোল্যান্ডেও জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে যাবে। জন্মহার হ্রাস এবং প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে ক্ষমতার নতুন মেরুকরণ ঘটবে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইন্সটিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস এন্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) পরিচালক ও প্রতিবেদনের লেখক ক্রিস্টোফার মুররে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৬৯ লাখ। ২১০০ সালের এই সংখ্যা কমে আট কোটি ১৩ লাখে পৌঁছতে পারে।
২০৩৯ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। ওই সময় মোট জনসংখ্যা হতে পারে প্রায় ১৭ কোটি ৩৪ লাখ। কেন কমবে জনসংখ্যা? মুররে’র ব্যাখ্যা, ‘আগামী ৮০ বছরে বাংলাদেশে জন্মহার প্রায় অর্ধেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৭ সালে বাংলাদেশে জন্মহার ছিল প্রায় ২ শতাংশ। ২১০০ সালে তা কমে হতে পারে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ।’
গবেষকরা যে পূর্বাভাস দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, ইউরোপ, এশিয়ায় জনসংখ্যা হ্রাস পেলেও আফ্রিকার সাব-সাহারা দেশগুলির ২১০০ সালে জনসংখ্যা তিনগুণ বেড়ে ৩০০ কোটিতে পৌঁছবে। শুধুমাত্র নাইজেরিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৮০ কোটিতে পৌঁছবে। আর এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১১০ কোটি।
জনসংখ্যসা হ্রাসকে অবশ্য শাপে বর হিসেবেই দেখছেন ক্রিস্টোফার মুররে। তাঁর কথায়, ‘জনসংখ্যা হ্রাস পরিবেশের জন্য যেমন সুখবর বয়ে আনবে, তেমনই খাদ্য উৎপাদনের ওপর চাপ কমবে এবং কার্বন নি:সরণ হ্রাস পাবে। পাশাপাশি আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের কোনও-কোনও দেশের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করবে।’ সুত্রঃ দিজ মোমেন্ট।