ইউনেস্কো ইউনিভোক কর্তৃক বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে ধরা হয়েছে “স্কিল ফর রিসিলিয়েন্ট ইয়ুথ”। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আবদুল হামিদ বলেছেন, দক্ষ ও যোগ্য যুবসমাজ গড়তে শিক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উদ্যাপন করছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কীয় সকল কার্যক্রমের সমন্বয়সাধন, দক্ষতার পারস্পরিক স্বীকৃতি, অভিন্ন প্রশিক্ষণ কারিকুলাম প্রণয়ন ও সনদায়ন এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত দক্ষতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। জাতীয় পর্যায়ে দক্ষতা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় দক্ষতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ যুব সমাজকে দক্ষতা উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে একটি দক্ষ যুব সমাজ গড়ে তুলতে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা একান্ত জরুরি।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্নস্থানে নানা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নানা আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।