প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে রীতিমতো কাঁপছে দেশ। তার মধ্যেই আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুই সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) এবং বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের উপ নির্বাচনের জন্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। করোনার তাণ্ডবের মধ্যে ভোট না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। কিন্তু সেই আর্জি নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দেওয়ায় খালেদা জিয়ার দল শেষ মুহূর্তে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে দুই আসনে শাসকদল আওয়ামি লিগের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গত ১৮ জানুয়ারি বগুড়া-১ আসনের সাংসদ তথা আওয়ামি লিগ নেতা আবদুল মান্নান মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। আর তিন দিন বাদে ২১ জানুয়ারি মারা যান যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের আওয়ামি লিগ সাংসদ ইসমাত আরা সাদেক। গত ২৯ মার্চ দুই আসনের উপ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়। মূলত দুই আসনেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
করোনার প্রকোপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি আজ দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেন মহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় যেহেতু দলীয় নেতা-কর্মীরা নানা সামাজিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন, তাই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুই দলের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই এই উপনির্বাচন করতে হচ্ছে। কেননা ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসনের এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের মধ্যে ভোট নেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত সেই প্রশ্ন উঠেছে। ভোটের লাইনে শারীরিক দুরত্ব কতটা বজায় রাখা সম্ভব হবে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ভোট দিতে গিয়ে যদি কোনও ভোটার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। তযদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভোট দেওয়ার সময়ে যদি কোনও ভোটার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন, তার দায় নেবে না নির্বাচন কমিশন।