জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ স্মরণে দিবসটিকে জাতীয়ভাবে পালনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসাবে ঘোষণার প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রতি বছর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে পালন করবে সরকার। এবিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণায় সম্মতি দেয়া হয়েছে। দিনটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করলে তা নতুন করে আনতে বলেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
এর আগে একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সরকারকে ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসাবে কেন ঘোষণা দেয়া হবে না বলে ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৭ মার্চ একটি ঐতিহাসিক দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ইউনেস্কো তাদের মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এসব বিষয়ে আলোচনার পর ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের উত্তাল সময়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।