যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার (১৩ জুলাই) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। । তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
আজ সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে, ১৪ জুন তার শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের শিল্পখাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় অসময় চলে গেলেন তিনি। করোনার সংকট কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার মতো উদ্যোক্তার খুবই দরকার ছিল। এ সময়ে তার চলে যাওয়া দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এদিকে, গত ১৪ জুন নুরুল ইসলামের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিনই তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশিষ্ট এই শিল্পোদোক্তার চিকিৎসায় এভারে কেয়ারের ডাক্তার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুদের নেতৃত্ব ১০ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর বাইরে চীনের ৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সিঙ্গাপুরের মাউন্ড এলিজাবেথ হাসাপাতালের ২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন।
তার স্ত্রী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় সংসদের এমপি সালমা ইসলাম। ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেয়ে রোজালিন ইসলাম, মনিকা ইসলাম এবং সনিয়া ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।
নুরুল ইসলাম বাবুল ১৯৭০-এর দশকে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘যুগান্তর’-এরও মালিক ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এদিন বাদ জোহর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সীমিত পরিসরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।