নেই কোনো পর্যটকের আনাগোনা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। সাড়ে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু জনশূন্য বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকত সয়লাব হয়ে গেছে শত শত টন বর্জ্য।
রোববার সকালে সরেজমিন গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, দরিয়ানগর থেকে শুরু করে হিমছড়ি সৈকত এলাকা পর্যন্ত শনিবার রাত থেকে ভেসে আসছে এ সব বর্জ্য। এত বর্জ্য হঠাৎ কোথা থেকে এলো তা অনুসন্ধান শুরু করেছে প্রশাসন।
এদিকে, সোমবার সকালেও সেই একই দৃশ্য দেখা গেছে।
এসব বর্জ্যের মধ্যে শুধু প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক পণ্য নয়, ভেসে এসেছে ছেঁড়া নাইলনের জাল ও শত শত বিভিন্ন প্রকারের মদের বোতল। এতে আটকে মারা যাচ্ছে কাছিমসহ সামুদ্রিক নানা ধরনের প্রাণী। পাশাপাশি চরমভাবে দূষণের কবলে পড়ছে পরিবেশ। ইতোমধ্যে মারা গেছে সামুদ্রিক কচ্ছপসহ কয়েক প্রকারের প্রাণী। আবার আটকেপড়া অনেক জীবিত কচ্ছপকে সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ নামের কক্সবাজারভিত্তিক পরিবেশ সংগঠনের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসাইন জানান, শনিবার রাত থেকে এ সব বর্জ্য আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক বর্জ্য আর ছেঁড়া জাল দেখা গেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি শোনার সঙ্গে সঙ্গে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বর্জ্যগুলো কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে তা অপসারণ করা যায় তা দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য আটকে কয়েকটা কচ্ছপ মারা গেছে। এছাড়া সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অনেকগুলো জীবিত কচ্ছপ উদ্ধার করে তা পুনরায় সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অনেকে এগুলো সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রিও করা শুরু করেছে।