দীর্ঘদিন বন্ধের পর আবাসিক খাতে ফের চালু হচ্ছে নতুন গ্যাস সংযোগ। তবে নতুন এসব সংযোগ হবে প্রি-পেইড পদ্ধতিতে। এ জন্য শুরু হয়েছে এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির কাজ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি গ্যাস বিতরণ সংস্থার দুর্নীতি বন্ধ না হলে, টেকসই জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।
অপরদিকে আবাসন খাতকে চাঙা করতে বাসা-বাড়িতে গ্যস সংযোগ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিলো সরকারের। এ বছরের মধ্যেই এ গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকটে ২০০৯ সালে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ করে সরকার। পরের বছরগুলোতে সীমিত আকারে কিছু সংযোগ দেয়া হলেও, ২০১৩ থেকে একেবারেই বন্ধ এ প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন পর গৃহস্থালিতে আবারো গ্যাস সংযোগ উন্মুক্তের পথে এগোচ্ছে জ্বালানি বিভাগ।
জানা গেছে, করোনায় শিল্প ও বাণিজ্য খাতে কাঙিক্ষত সম্প্রসারণ হবে না আগামী দিনগুলোতে। অন্যদিকে, কাতার ও ওমান থেকে দেশে প্রতিনিয়তই আমদানি হচ্ছে এলএনজি। এ অবস্থায় নতুন করে আবাসিকে গ্যাস দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, আবাসিক খাতে খুব বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। প্রাথমিকভাবে তথ্য উপাত্ত দেয়া হয়েছে। মৌখিকভাবে সম্মতি পেয়েছি।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে এখন আর আগের মতো গ্যাস সংকট নেই। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ধাপে ধাপে বিতরণ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে গ্যাস পাবেন বাড়ির মালিকরা।
জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ধাপে ধাপে দেয়া হবে গ্যাস সংযোগ। তবে প্রত্যেকটা সংযোগ হবে প্রিপেইড।
জ্বালানি বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, আমাদের সবচেয়ে দরকার নিজস্ব জ্বালানির উপর নির্ভর করা। তবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ এখনই বন্ধ করতে হবে।