জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ নিয়ে গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনের পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন অনুসারে, জঙ্গিরা ভীম্বর গালি এবং নওশেরা সেক্টরে জঙ্গিরা উপস্থিত থাকতে পারে এবং পাকিস্তানের বিএটি (বর্ডার অ্যাকশন টিম) তাদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করতে পারে। জানানো হয়েছিল যে এই তথ্যগুলি সুরক্ষা বাহিনী এবং বিএসএফের সাথে শেয়ার করা হয়েছে যাতে তারা এই অঞ্চলগুলিতে কার্যক্রমের উপর বেশি করে নজর রাখতে পারে।
সুরক্ষা বাহিনী আশঙ্কা করছে যে শীঘ্রই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিএটি-কে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের জন্য সম্পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে ভারতে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ তীব্র হয়েছে। পাকিস্তানের বিএটি দলের লোকেরা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং তারা তাদের সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের পাশাপাশি জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের অন্তর্ভুক্ত করে। বিএটি বেসামরিক নাগরিকদেরও লক্ষ্য করে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। জানুয়ারী মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় এক বেসামরিক নাগরিককে আক্রমণ করে হত্যা করেছিল বিএটি।
তিনি মহম্মদ আসলাম হিসাবে পরিচিত, যাকে ধর ও মাথা আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল এবং দেহের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে কাটা হয়েছিল। বিএসএফের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, “গত সপ্তাহগুলিতে এ জাতীয় কোনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক ঘন্টা আগে এই প্রতিবেদন পাওয়ার পরে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে, বিশেষত দুটি সেক্টরে পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে এবং রাতের সময়ে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে। পাকিস্তান যে কোনও দুঃসাহসের জবাবদিহি করবো।”
একজন প্রবীণ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “বিএটি দল এই মরসুমে ভারতে অনুপ্রবেশে সন্ত্রাসীদের সহায়তা করছে। সন্ত্রাসীদের অনেক জায়গায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে বিএটি এবং পাকিস্তানের অন্যান্য সংস্থা তাদের সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়। যখন অনুপ্রবেশে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখন তারা এই সন্ত্রাসীদের সাথে বিএটিকে সীমান্তে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে আক্রমণ করা হয়।” বলা বাহুল্য ফের উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি রেখা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। যার জেরে এলওসির কাছে জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় পাক হানায় মৃত্যু হল এক ভারতীয় জওয়ানের। সুত্রঃ কলকাতাটাইমস২৪।