মোঃ আসাদুজ্জামান:: মফস্বল শহর, উপজেলা ও গ্রাম এলাকায় হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসকদের ব্যাপকভাবে অনুপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ আছে। এ নিয়ে অসংখ্যবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও সরকার হাসপাতালে ডাক্তার নিশ্চিত করার মতো ব্যবস্থা করতে পারেনি। এমন অভিজ্ঞতাও আছে, চিকিৎসকেরা মাসে বা সপ্তাহে এক বা একাধিক দিন গিয়ে বাকি সব দিনের হাজিরা খাতায় সই করে আসেন।
এই যন্ত্র বসানোর পর উপস্থিতি খাতার পদ্ধতি বাতিল হয়ে যাবে। যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিয়েই জানাতে হবে হাজিরা, হাসপাতালে উপস্থিতি এবং হাসপাতাল ত্যাগের সময়। ফলে কেউ দেরিতে এলেন কি না, কেউ অনুপস্থিত কি না, এই বিষয়টিতে নজরদারি নিশ্চিত হবে। কারও পক্ষে একদিন অফিস না করে সেদিনের হাজিরা দেওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মনে করছে, এই পদ্ধতি চালু হলে কেউ অনুপস্থিত থাকলে সেটির প্রমাণ থাকবে। ফলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। বিদ্যমান পদ্ধতিতে অনুপস্থিত কেউ পরে হাজিরা খাতায় সই করলে কিছু করার থাকে না।
দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল হাজিরার পাশাপাশি যদি হাসপাতালগুলোকে স্থানীয় সরকারের অধীনে নিয়ে আসা হয়, তাহলে জবাবদিহি আরও বেশি নিশ্চিত হবে।’
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘সারা দেশের উপজেলায় হাজিরা ফিঙ্গারপ্রিন্টের আওতায় আনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযানের পরই আমরা সারা দেশের সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি। কঠোর মনিটরিং আরোপ করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় যাতে কোনো চিকিৎসক ফাঁকি দিতে না পারেন, সে জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।