আগামী নতুন অর্থবছর ২০২০-২১ -এর প্রস্তাবিত পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হতে অর্থপ্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আনীত বিলটি (নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২০) পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এরপর সংসদে উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এই বাজেট বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দ্বিতীয় বাজেট। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১২তম বাজেট। আগামীকাল ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। নতুন বাজেটের মোট আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। জিডিপি আকার ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
এর আগে ৪২১টি ছাঁটাই প্রস্তাব আসে। দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির নয়জন সংসদ সদস্য এ ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়েছেন।
যেসব সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়েছেন তারা হলেন- জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, ফখরুল ইমাম, লিয়াকত হোসেন খোকা, মুজিবুল হক (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান। বিএনপির হারুনুর রশিদ ও রুমিন ফারহানা।৫৯টি দাবির মধ্যে সংসদ সচিবালয় এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে কোনো ছাঁটাই প্রস্তাব নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদবিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চার থেকে ৯টি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে।
সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব দাবির মধ্যে সময় বিবেচনা করে দুই-তিনটির ক্ষেত্রে আলোচনার কথা বলেন। এক্ষেত্রে তিনি আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের প্রস্তাব পেয়েছেন এ দুটি মন্ত্রণালয়ের দাবির বিপরীতে ৯টি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এর বেশিরভাগই নীতি অনুমোদন ছাঁটাই প্রস্তাব এবং কিছু রয়েছে মিতব্যয়ী ছাঁটাই।
গত ১০ জুন সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এর পরের দিন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।