মোঃ জহির হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে করোনার ভয় দেখিয়ে হাসপাতালে না নিয়ে নীজ বাসায় স্বাস্থ্য কর্মীর মিনি ক্লিনিকে প্রসুতি নারীর নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৯ জুন বিকেলে) উপজেলা কমপ্লেক্সের পিছনে টিসি সড়কের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী মায়ার নীজ বাসা মিনি ক্লিনিকে । পুলিশ নবজাতকের মৃত দেহ উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়েই ইউএনও সাবরীন চোধুরীর নেতৃত্বে থানার পুলিশ কর্মকর্তা জালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে-ক্ষতিগ্রস্থ্য মৃত নবজাতকের মা মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের জানান, তিনি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শায়েস্তানগর গ্রামের মৃধা বাড়ীর প্রবাসী দেলোয়ারের স্ত্রী হন। গত কয়েকদিন ধরে তার পেটের বাচ্চা প্রসব যন্ত্রনায় কষ্ট পাচ্ছেন। তার পরিবার সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী মায়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে সে সোমবার দুপুরে করোনা ও টাকা বেশি খরছের ভয় দেখি তার টিসি সড়কের বাসার মিনি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করেন। নিরুপায় হয়ে তার বাসায়ই মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে ও ৩ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। ছোট সিজারের আগে পেটে বাচ্চা জীবিত ছিলো, কিন্তুু সে মৃত বাচ্চা বের করায় চিৎকার দিয়ে স্বজনদের খবর দেয়া হয়। স্বজনরা ইউএনও, থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের খবর দিলে মায়া তার বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী মায়া বেগমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। বাসায় এসব ঘটনা হলে কিছু সমস্যা হবে, আবার সমাধানও হয় বলে তার স্বামী দাবি করেছেন।
রায়পুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেন বলেন, মৃত নবজাতকে রিপোট রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা লিখিত অভিযোগ দিলে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।