মো. কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কালিকাবর বেরীবাঁধ ভেঙে প্রায় দুইশতাধিক ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীনের শঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। সরেজমিন ঘুরে ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের ফলে কালিকাবর গ্রামের মকিম সরকারের বাড়ি থেকে নদীর বেরীবাঁধের প্রায় এগারোশত ফুট রাস্তা সংলগ্ন ঘর-বাড়ি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢলের স্রোতে রাস্তার নীচ দিয়ে বিশাল আকারের গর্ত তৈরী হয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আশপাশের বসতিদের শঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় রয়েছে সারাক্ষন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে বাঁশ কেটে বেরি বাঁধের পাশে বালুর বস্তা ফেললেও তা যথেষ্ট নয়।
এ ব্যপারে জরুরী উপজেলা প্রশাসন ও উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। বেরীবাঁধটি ভেঙে গেলে ওখানকার বেশক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, গাঁওকান্দিয়া বাজার, ইউনিয়ন পরিষদর কার্যালয় সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা রহিত মিয়া, জাহাঙ্গীর, রতন মিয়া, আব্দুল আলীম সহ অসংখ্য ভুক্তভোগী আমাদেরকে জানান, কালিকাবর বেরীবাঁধটি রক্ষায় অনেকবার স্থানীয় এমপিদের দিয়ে পরিদর্শন করিয়েছি। সবাই কথা দেয় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। এ বাঁধটি এখন আমাদের গলার কাটার মতো বিধে আছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, সোমেশ্বরী নদীতে বন্যার পানি আসলেই গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের এ বেরীবাঁধটি থেকে প্রায় ৫-৭ কিলো রাস্তার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। প্রায় দুইশতাধিক ঘর-বাড়ি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় নদীতে এসব ঘর-বাড়ি ধ্বসে যেতে পারে। আমি উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়টি অবহিত করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোনা জেলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রহিদুল হোসেন খান জানান, কালিকাবর বেরীবাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। আশা করছি অচিরেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।