৭১ বছর হয়ে গেল আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে।অনেক প্রতিকুলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে দলটিকে। বহু মানূষ জীবিন দিয়েছে আওয়ামী লীগের জন্য। বাংলাদেশে রাজনীতির সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির গনভিত্তি দৃঢ়, সব সরকারই আওয়ামী লীগকে ধংস করার চেষ্টা করেছে, পারেনি। এই গনভিত্তিই দলটির চালিকা শক্তি, আগেও ছিল এখনো। জাতীর জনক কে স্বপরিবারে হত্যা করেও ব্যর্থ হয়েছে, আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা অনেক যখম সহ্যকরে দলকে পুনর্গঠিত করেছে। অনেক নেতাই দল থেকে বেড়িয়ে গেছেন ভেবেছেন, তাদের ইমেজ দিয়ে নতুন দল গঠন করবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ছেড়ে গিয়ে কিছুদিন ছুটাছুটি করেছেন, অবশেষে নিস্প্রাভ হয়ে বসে গেছেন। নেতা নয় দল হিসাবে আওয়ামী লীগই নেতা প্রস্তুত করেছে, নেতারা আওয়ামী লীগ গঠন করেনি। আওয়ামী লীগের আদর্শই জনগনের জন্য রাজনীতি, নেতার জন্য আওয়ামী লীগ নয়। জাতীর জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দলের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। রেখে গেছেন তার দেশপ্রেম আর জনগনের জন্য তার অকৃত্রিম ভালবাসা। যৌবন বিলিয়েছেন জনতার জন্য, সূখ স্বাচ্ছন্দকে অগ্রাহ্য করেছেন জনগন আর দলের জন্য দেশের স্বার্থে। জাতীর জনকের এই শিক্ষাটিই আওয়ামী লীগের প্রানশক্তি যা আর কেউ দেখাতে পারেননি। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে সবাইকে সরিয়ে দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষনা করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থেকেছেন। আওয়ামী লীগ সেই অকুতোভয় সত্যটি বহন করে চলেছে আজও। এই সত্যের অংগিকারেই আওয়ামী লীগ দেশের মানূষের মনিকোঠায় স্থান করে রেখেছে। ৭০ বছরেও জনগনের সেই বিশ্বাস এতটুকু কমেনি। চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগের প্রতি জনগনের আস্থ্যাটি ভাংতে পারেনি কেউ, চেষ্টা করেছে। ৭৫ এর কালো অধ্যায় আওয়ামী লীগকে প্রায় নিঃশেষ করে দিয়েছিল। বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসে হাল ধরেছেন দলের। দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রাম করে দলকে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন জনতার রায়ে। টানা তিন মেয়াদে দেশের চিত্র বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। যতভাবেই লোকে সমালোচনা করুক, আওয়ামী লীগ সরকারই দেশের পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত আর শেখ হাসিনা বিশ্ব সভায় সমাদৃত যোগ্য নেতা হিসাবে। কৃতিত্বটি অবশ্যই নেতৃত্বের তবে কর্মীদের বাদ দিয়ে নয়। তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকির এই মাসে বিনম্র চিত্তে সালাম জানাই জাতীর জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যিনি, একটু একটু করে দল গুছিয়েছেন, জাতীকে উদ্ভুদ্ধ করেছেন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। শ্রদ্ধা জানাই সকল নেতা কর্মীদের যাদের আত্নত্যগ আর বিসর্জন আওয়ামী লীগকে আজও অভিন্ন অবস্থানে ধরে রেখেছে। সালাম জানাই ৩০ লক্ষ শহীদের যারা আওয়ামী লীগের ডাকে দেশমাতৃকার প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে। সর্বপরি সালাম জানাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যিনি, ৩৯ বছর ধরে দলের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে শক্তিশালীভাবে সংগঠিত করে রেখেছেন। আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অস্তিত্বের দিশারি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আর বাংগালী জাতীর অনুভুতির নাম।
জয় বাংলা। জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আজিজুর রহনান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা