ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ‘খান বাহিনী’র ফারুক হোসেন (৩৫), শরিফুল ইসলাম (২৪)এবং হাবিবুর রহমান (২৪) নামে তিন সক্রিয় সদস্য নিহত হয়েছে। এসময় আরও দুই সদস্যকে আটক ও অপহ্নত দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময়ে তাদের কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩ রাউন্ড গুলি ও একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মামদো নদী, মালঞ্চ, খোপড়াখালি ও ফিরিঙ্গি নদী এলাকায় গত ২৫ জুন রাত থেকে আজ ভোর পযন্ত র্যাব এ অভিযান চালায়।
দুপুরে খুলনা র্যাব-৬ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রেস বিফ্রিংয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় নামার চেষ্টা করলে তাদের পরিণতিও বুলবুল বাহিনীর সদস্যদের মতো হবে।
তিনি বলেন, ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনকে কেউ অশান্ত ও নতুন করে বনদস্যু বাহিনী গড়ে ওঠার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহিত করা হবে। কোনো বাহিনী আর গড়ে উঠতে দেয়া যাবে না। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারির হাত থেকে কেউ পার পাবে না বলে উল্লেখ করেন র্যাব মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে খুঁজে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে: রওসোনুল ফিরোজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনে খান ও বুলবুলসহ কয়েকটি ছোট ছোট বনদস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়। গত ২০ জুন সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া চার জেলেকে মক্তিপণের দবিতে অপহরণ করে একটি বনদস্যু বাহিনী। ওই ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা গত শুক্রবার থেকে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করছিল।