এ বছর পবিত্র হজে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে যারা নিবন্ধন করেছিলেন, তারা তাদের টাকা যে কোনও সময় ফেরত নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি চান তারা টাকা তুলে নিতে পারবেন। আবার কেউ যদি চান আগামী বছর হজে যাওয়ার জন্য তা রেখে দেবেন, তাহলে সেটাও করা যাবে।
কেউ টাকা রেখে দেন তাহলে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী বছর হজে যেতে পারবেন।
টাকা ফেরত নিয়ে কোনও হয়রানির সুযোগ নেই উল্লেখ করে সচিব বলেন, টাকা উত্তোলনে কারও সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। ব্যাংকে টাকা সঠিকভাবে গচ্ছিত রয়েছে। কারো কোনা ভয় নেই।
উল্লেখ্য, করোনার মহামারির কারণে এ বছর বিশ্বের কোনো দেশ থেকে পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবে কেউ যেতে পারছেন না। তবে এবার সব মিলিয়ে এক হাজারেরও কম লোক পবিত্র হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাও আবার যারা বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন, তাদের থেকেই সীমিত সংখ্যক এই মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন।
ফলে বাংলাদেশ থেকে যারা নিবন্ধন করেছিলেন তাদের এবার হজ করা হচ্ছে না। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেন।
এ সময় তিনি করোনা ভাইরাসের কারণে হজ বাতিলের বিষয়টি বাংলাদেশের মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এবার হজে এক হাজারেরও কম লোক অংশ নেবেন বলে জানান সৌদির মন্ত্রী। পরে ড. মোমেন এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান।