ইংল্যান্ডের রেডিং শহরে কয়েকজন ব্যক্তির ওপর ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে।এতে তিনজন নিহত এবং আরো অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়।পুলিশ এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে বিবেচনা করছে।এই ঘটনায় ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় শহরের একটি পার্কে এক ব্যক্তি ছুরি দিয়ে নির্বিচারে এই হামলা চালানো হয়। করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে জারি করা লকডাউন তুলে নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ব্রিটেনে এরকম হামলার ঘটনা ঘটলো।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশের কাছে একটি টেলিফোন কল আসে। তাদেরকে বলা হয় যে শহরের কেন্দ্রে ফরবারি পার্কে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ছুরিকাহত হয়েছেন। সাথে সাথেই পুলিশ ছুটে যায় সেখানে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি হেলিকপ্টার।
প্রাথমিক খবরে বলা হয় তিন ব্যক্তি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর জন্য ফরবারি পার্কের কাছেই আরেকটি পার্কে দুটো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো তিনজন। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
লরেন্স ওয়ার্ট নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে ছিলেন, তিনি বলেছেন হামলার সময় পার্কে প্রচুর লোক ছিল। অনেক মানুষ পার্কে বসে পান করছিল। একজন এসে জোরে চিৎকার করতে করতে একদল লোককে ছুরি মারতে চেষ্টা করে। তিনজনকে ছুরি মারে এবং তারপর ঘুরে আমার দিকে আসতে থাকে। তখন আমরা দৌড়াতে শুরু করি। যখন সে বুঝতে পারে যে আমাদের ধরতে পারবে না, তখন সে বসে থাকা আরো কিছু লোকের ওপর হামলা চালায়। এর পর সে পার্ক থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার নাম খাইরি সাদাল্লাহ। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, তিনি লিবিয়ার নাগরিক।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, হামলার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তারা তাকে আটক করেছে। পুলিশ আরো জানিয়েছে, যে এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তারা আর কাউকে খুঁজছে না। এই ছুরি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত হয়েছেন।
কাউন্টার টেররিজমের প্রধান নিল বাসু বলেছেন, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার প্রতিবাদের সঙ্গে এই হামলার কোন সম্পর্ক নেই। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে এই পার্কে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।