বিশ্বের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি গুলোর মধ্যে অন্যতম, ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরিপি রবিবার (২১ জুন ) দু’বার ধূসর ছাইয়ের মেঘ আকাশে পাঠিয়েছে বলে দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়া জানিয়েছে, রবিবার (২১ জুন )প্রায় তিন হাজার মিটার উচ্চতার এই আগ্নেয়গিরি আবারো জ্বলে উঠতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, দুটি বিস্ফোরণ প্রায় সাত মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। এতে আকাশের ৬ হাজার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ধূসর ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। আগ্নেয়গিরি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের ৩ কিলোমিটার দূরে সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
তবে এ ঘটনায় কোনো সতর্কতা সংকেত দেয়নি ইন্দোনেশিয়ার ভলকানোলোজি অ্যান্ড জিওলোজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টার। শুধুমাত্র আগ্নেয়গিরিটির এলাকা সেন্ট্রাল জাভা ও জাকার্তার সীমান্ত অঞ্চলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আগ্নেয়গিরি পার্শ্ববর্তী স্লেম্যান এবং ক্লাটেন এলাকার লোকজন রবিবার সকালের দিকে আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তর থেকে ভয়ংকর শব্দ ভেসে আসতে শুনতে পায়।
উল্লেখ্য, মাউন্ট মেরাপিতে সবশেষ বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাত হয় ২০১০ সালে। তাতে তিনশো’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আগ্নেয়গিরিটির আশপাশের এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দাদের। এর আগে আগ্নেয়গিরিটির সবচেয়ে ভয়াবহ উদ্গিরণ হয় ১৯৩০ সালে। তাতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে আরও একবার উদ্গিরণ হলে প্রায় ৬০ জন মানুষ প্রাণ হারায়।
প্রায় সতেরো হাজারের বেশি দ্বীপের ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় টেকটোনিক প্লেট ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারণে সেখানে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত নিত্য ঘটনা। সুত্রঃ এএফপি ।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর / মোস্তাফিজুর রহমান