ঈশাত জামান মুন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস ও সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ সুপারে পদোন্নতি পেলেন লালমনিরহাটের কৃতি সন্তান আবুল বশর মোঃ জাকির হোসেন।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের কৃতি সন্তান আবুল বশর মোঃ জাকির হোসেন তিনি “এ বি এম জাকির নামে বেশি পরিচিত”, পুলিশ সুপার পদে পদায়ন পেয়েছেন। উক্ত পদায়নের খবরে লালমনিরহাট জেলাবাসী আনন্দিত।
জানা গেছে, গত ১৮ জুন বাংলাদেশ পুলিশের ২১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদায়ন দেওয়া হয়। জনপ্রসাশন মন্ত্রানালয় এর প্রজ্ঞাপন সুত্রে পদায়ন এর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন প্রদান করা হয়। এবিএম জাকির হোসেনকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন , রংপুর জেলায় পদায়ন করা হয়।
কে এই জাকির হোসেন? জাকির হোসেনের পরিচিতি-লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা জেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের প্রয়াত মকবুল হোসেন ও মা জাহানারা বেগমের কৃতি সন্তান। তাহার দুই সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় সন্তান।
শিক্ষা জীবনের শুরুতে তিনি বাউরা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন সাফল্যের সাথে। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। পরবর্তীতে তিনি স্কলারশিপ পেয়ে বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার বাবা-মা এর ঐকান্তিক ইচ্ছায় দেশ ও দেশের মানুষের সেবার অদম্য প্রয়াসে জাকির হোসেন জীবনের প্রথম বিসিএস (২৫ তম) এ অংশগ্রহণ করে পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে তিনি বরিশাল, বাগেরহাট, নওগাঁ, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও রংপুর সহ নানা স্থানে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে সরকারি সাহায্য ও নিজস্ব পৃষ্ঠপোষকতায় এলাকার মানুষদের সাহায্য করে থাকেন। উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন এ তার পিতা মাতার নামে মকবুল-জাহানারা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে জমি দান করেন।
এছাড়া তিনি মকবুল-জাহানারা-ফাউন্ডেশন চালু করেন । মকবুল-জাহানারা ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ঔষধ ও চশমা প্রদান করে আসছেন।
তিনি পাটগ্রাম তথা দেশের সকলের কাছে তার ও তার পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেছেন। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত সৎ, মিষ্টভাষী ও পরোপকারী এই পুলিশ অফিসারের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেছেন তার পরিবার, বন্ধু ও জেলার সুধি মহল।
কর্মক্ষেত্রে অনন্য পেশাদারিত্ব, সততা ও সুনিপুণ দক্ষতার অর্জন করেন। চলমান করোনা ভাইরাসে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের পরেই লড়ছে পুলিশ। করোনায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন, সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন নিশ্চিত করতে গিয়ে একক বাহিনী হিসেবে পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
2 Attachments