আজ অনলাইন প্লাটফর্মে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিইউ এবং ১০ শয্যাবিশিষ্ট এইচডিইউ ইউনিটের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হল। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কক্সবাজারের চিকিৎসা সেবা সক্ষমতায় নতুন ধাপ সংযোজিত হল। এখন থেকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীসহ সব ধরনের শ্বাসকষ্ট থাকা রোগীকে ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম যেতে হবে না।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে শনিবার (২০ জুন) প্রধান অতিথি কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এই আইসিইউ-এইচডিইউ উদ্বোধন করেন।
আজ শনিবার (২০ জুন) উদ্বোধন হলেও এই দিনেই রোগী ভর্তি করানো হবে না। আপাতত ট্রায়াল শুরু হবে। আগামি ২১-২২ জুন থেকে বিশেষায়িত এই দুই ইউনিটে সংকাটাপন্ন রোগী ভর্তি নেয়া হবে।
চীনে যখন ‘কোভিড ১৯’ নামে অদৃশ্য একটি ভাইরাস কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিল। শত শত মানুষ মারা পড়ছিল। ঠিক তখনই ২৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রাণকেদ্র কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল চিন্তা করলো কক্সবাজারেই যদি করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়ে জটিল অবস্থায় পড়েন, তখন তাদের কিভাবে চিকিৎসা দেয়া হবে? আবার এই জেলার উপর ভর করে বসে আছেন আরও ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি এমপি কমল বলেন, আইসিইউ এবং এইচডিইউ কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ-এইচডিইউ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাই। এ সময় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’ আমাদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন। হাসপাতালের আইসিইউ এবং এইচডিইউ নির্মাণের সব দায়িত্ব নেন তারা। কিন্তু লকডাউনের কারণে এটি নির্মাণে একটু দেরি হয়ে গেল।
পুরাতন মেডিকেল কলেজ ভবনের ৫ম তলাতেই বসেছে ‘আইসিইউ’ ও ‘এইচডিইউ’ ইউনিট। এই ইউনিট দু’টো চালাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সব ধরণের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সকল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাপোর্ট দেবেন। পুরো ইনস্টুমেন্ট দেখভাল করবেন সদর হাসপাতালের এডমিনিস্ট্রেশন।
তবুও ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে ওখানে নির্ধারিত ২ জন সিনির কনসালটেন্ট ও ৪ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট দেবে। যাদের আইসিইউতে ট্রেনিং আছে এমন ১০ জন ডাক্তারকে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া দিয়েছে। এছাড়াও ট্রেনিং আছে এমন ২৫ জন নার্সকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মেডিকেল টেকনিশিয়ান ৩ জন, এম্ব্যুালেন্সের জন্য ড্রাইভার থাকবে ৩ জন, ওয়ার্ডবয় ১০ জন এবং ক্লিনার থাকবে ১০ জন। তাদের সমস্ত ব্যয় বহন করবে ইউএনএইচসিআর।