লাদাখে চিন সীমান্তে একদিকে যখন ভারত-চীন উত্তেজনা চরমে, অন্যদিকে সুযোগে পাকিস্তানও হামলা চালাচ্ছে ভারতে। জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মর্টার শেল ছুড়ল সেদেশের সেনা। লাদাখে অশান্তি বাড়তেই কাশ্মীরে পাক হামলা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে হামলা চালায় পাক সেনাবাহিনী।
নওগাম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মর্টার শেল ছুড়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে তারা। এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও এই হামলা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ লাদাখে চিনকে ঠেকাতে ভারত কাশ্মীর থেকে সেনা নিয়ে যাচ্ছে সেখানে। এই আবহে পাকিস্তানের এই হামলা ভারতকে দোটানায় ফেলতে পারে।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানান, “২০২০ সালের ১ জুন সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তান নওগাম সেক্টরে এলওসি বরাবর মর্টার ও অন্যান্য অস্ত্র চালিয়ে অবরুদ্ধ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (সিএফভি) শুরু করে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের অবিস্মরণীয় গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান সেনারা। একাধিকবার তারা কাশ্মীরের ওরি ও তাংধর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এবং জম্মুর রাজৌরি ও পুঞ্চের দক্ষিণে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। চলতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ২ হাজার ২৭ বারের বেশি বার সীমান্তে হামলা চালিয়েছে তারা। পাক বাহিনীর হামলা বাড়ছে এর আগে ১১ জুন রাজৌরিতে পাকিস্তান সেনার হামলায় নিহত হয় এক ভারতীয় জওয়ান। আহত হয় একজন। এরপর ১৪ জুন ফের পুঞ্চে হামলা চালায় তারা। সেই হামলায়ও নিহত হয় এক জওয়ান, আহত হয় হন দু’জন।
প্রসঙ্গত, লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা বাড়ার পর থেকে পাক বাহিনীর হামলাও বেড়েছে কয়েকগুণ। কাশ্মীর, লাদাখ ও চীনের দৃষ্টি এরই মধ্যে চীন প্রথমবারের মতো গালওয়ান প্রদেশের উপর নিজেদের অধিকার দাবি করে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পাকিস্তানের মদতে ভারতকে চতুর্দিক থেকে ঘিরতে চাইছে চীন। সুত্রঃ এনডি টিভি।