সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতা নাসিম, কামরান ও শেখ আব্দুল্লাহকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির অভিযোগ উঠেছে রুমেল আহমদ নামে এক দুবাই প্রবাসী যুবকের বিরুদ্ধে। ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে। এ নিয়ে ফেসবুকজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে ফেসবুকে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
জানা গেছে, সদ্য প্রয়াত সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্মমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে আপত্তিকর ভাষায় কটুক্তি করেন দুবাই প্রবাসী রুমেল আহমদ। বিষয়টি বড়লেখার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন দলটির সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিনের বক্তব্য: সম্মানিত বড়লেখা উপজেলাবাসি আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে দুবাই প্রবাসী দক্ষিণভাগ নিবাসী রুমেল আহমদ ফেইসবুক লাইভ এ এসে আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দের মৃত্যু নিয়ে যেভাবে কুটুক্তি করেছে তাহা আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিদ্দা জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। পুলিশ প্রশাসন তার বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে এসেছে।
তাই বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর নেতৃবৃন্দ আপনারা ধৈর্যধারণ করুন এবং দোয়া করুন আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে আল্লাহতায়ালা যেনো জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।
অন্যদিকে, কটুক্তির প্রতিবাদে সোমবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার দক্ষিণভাগে যুবলীগ-ছাত্রলীগ পথ সভা করেছে।
উল্লেখ্য, কটুক্তির অভিযোগ ওঠা রুমেল আহমদের বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৮ সালে আইসিটি আইন মামলা হয়েছিল। সে সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তির দায়ে বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমদ জুয়েল বাদী হয়ে এই মামলা করেন। ৩ জনের নামে দায়ের করা মামলায় রুমেল ২ নম্বর আসামী। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক জানান, এ বিষয়ে জানার পর তার বাড়িতে পুলিশ খোঁজ নিতে যায়। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে আগের একটি মামলা ছিল বলে জেনেছি। স্থানীয়ভাবে খবর নেওয়া হয়েছে। সে প্রবাসে থেকে এসব করছে। এ বিষয়ে আরো খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।