ভূমধ্যসাগরের তুলোন বন্দরে অবস্থানরত ফ্রান্সের একটি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বন্দরটি হচ্ছে ফ্রান্সের নৌ বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ঘাঁটি। দমকল কর্মীদের ১৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে তবে এর কারনে কোন পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি ।
নৌবাহিনী জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তুলোন বন্দরের তীরের একটি অংশে প্রবেশের সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এসময়, সাবমেরিনটি দক্ষিণের বেস তলুনে সংস্কারাধীন ছিল।
এরপরে বেলা ১১ টার দিকে প্রায় ১০০ জন দমকলকর্মী ও ১৫০ জন সেচ্ছাসেবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেছেন, “আগুন লেগেছে, তবে কোন পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার সময়ই পারমাণবিক চুল্লির অংশটি সুরক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।”
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কী কী আর আগুন কখন শুরু হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও নেভাল গ্রুপের মেরামত কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা এই ঘটনাটিকে গুরুতর বলে অভিহিত করেছেন।
আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানায়, যে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় দূষণ এবং তেজস্ক্রিয়তার পরিমাপ সাধারণের বাইরে পাওয়া যায়নি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতি বিশ্লেষণের পর জাহাজটি মেরামত করা যায় কিনা তা নির্ধারণ করা হবে এবং এটা অত্যন্ত ভাগ্যের বিষয় পরমাণু সাবমেরিনের প্রায় সব সরঞ্জামই বোর্ডে মজুত ছিল না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন জন আহত হয়েছেন তবে সাবমেরিনের কোন পরমাণু পদার্থ বা অস্ত্র থেকে তিনি আহত হননি। কী কারণে এই সাবমেরিনে আগুন লেগেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। ১৯৯০ সালে ফ্রান্স এই পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনটি চালু করে এবং ১৯৯৩ সালে সক্রিয়ভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। সূত্র- ফ্রান্স২৪.কম।