প্রবল বন্যা ও ভূমিধসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকেই। এছাড়াও গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনা মহামারিকালে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এ অঞ্চলের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলো এই খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পেড়ে।
স্থানীয় সরকারের বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রায় ২ লাখঞ ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ১ হাজার ৩০০’র বেশি বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি হোটেল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০টিরও বেশি পর্যটন এলাকা।
দেশটির স্বশাসিত অঞ্চল গুয়াংজি জুয়াংয়ে বন্যা ও ভূমিধসে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একজন নিখোঁজ রয়েছে। জনপ্রিয় পর্যটন অঞ্চল ইয়াংসুর রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বাঁশের ভেলায় করে স্থানীয় লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন।
স্থানীয় এক হোটেল মালিক সিনহুয়াকে জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় হোটেলের অতিথিদের রুমগুলোতে এখন পানির উচ্চতা ৩ ফুটে পৌঁছেছে। তারা অতিথিদের সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে বন্যা ও ভূমিধসে হুনান প্রদেশে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলছে, বন্যায় সরাসরি অর্থনৈতিক ক্ষতি ৫৫ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।
চলতি মাসের শুরু থেকেই চীনে প্রবল বৃষ্টিতে ওইসব অঞ্চলের অন্তত ১১০টি নদীর পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও দক্ষিণ চীনে ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।