আজ বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের ৪৯তম এবং তার নিজের দ্বিতীয় বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেট উপস্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদের কেবিনেট কক্ষে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠক। এতে সরকারের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেয়া হবে।তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটা দ্বিতীয় বাজেট। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে এবারের বাজেট বর্তমান অর্থমন্ত্রীরও দ্বিতীয় বাজেট।প্রস্তাবিত বাজেটের এ আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে যা ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়ায় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। নতুন এ বাজেটের আকার চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের মতো জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর বহিখাত অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা।মোট ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ।জানা গেছে, আগামী বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় রাখা হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরবরাহ ও সেবা বাবদ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ রাখা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সরকারি প্রণোদনা, ভর্তুকি ও অনুদান বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদে উপস্থাপনের পরপরই ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের দলিলাদি অর্থমন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে। যে কেউ এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত পাচ্ছে বিশেষ গুরুত্বজানা গেছে, বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ওপর। পাশাপাশি করোনা থেকে উত্তরণের দিকনির্দেশনাও থাকবে বাজেটে। প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা করতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া বিনিয়োগ বাড়াতে নানা উদ্যোগের ঘোষণা আসতে পারে।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সংগত কারণেই এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। পাশাপাশি কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ব্যবসাবাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা থাকছে। এবারের বাজেট নথিও কমিয়ে আনা হচ্ছে। বাজেট বক্তৃতা, বাজেটের সংক্ষিপ্তসার, বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, সম্পূরক আর্থিক বিবৃতি, মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে বাজেট ডকুমেন্ট।করোনার সংক্রমণ এড়াতে সংসদ কক্ষে সদস্যদের আসন বিন্যাসেও সাময়িক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংসদ ভবনে এবার দর্শনার্থীর প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদেরও সংসদ ভবনে না গিয়ে সংসদ টিভি দেখে অধিবেশন কাভার করার অনুরোধ জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়। অর্থমন্ত্রীর বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনও ভার্চুয়াল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ-বিদেশ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠানো যাবে।
বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর বহিখাত অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা।মোট ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ।জানা গেছে, আগামী বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় রাখা হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরবরাহ ও সেবা বাবদ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ রাখা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সরকারি প্রণোদনা, ভর্তুকি ও অনুদান বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদে উপস্থাপনের পরপরই ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের দলিলাদি অর্থমন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে। যে কেউ এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত পাচ্ছে বিশেষ গুরুত্বজানা গেছে, বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ওপর। পাশাপাশি করোনা থেকে উত্তরণের দিকনির্দেশনাও থাকবে বাজেটে। প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা করতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া বিনিয়োগ বাড়াতে নানা উদ্যোগের ঘোষণা আসতে পারে।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সংগত কারণেই এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। পাশাপাশি কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ব্যবসাবাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা থাকছে। এবারের বাজেট নথিও কমিয়ে আনা হচ্ছে। বাজেট বক্তৃতা, বাজেটের সংক্ষিপ্তসার, বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, সম্পূরক আর্থিক বিবৃতি, মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে বাজেট ডকুমেন্ট।করোনার সংক্রমণ এড়াতে সংসদ কক্ষে সদস্যদের আসন বিন্যাসেও সাময়িক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংসদ ভবনে এবার দর্শনার্থীর প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদেরও সংসদ ভবনে না গিয়ে সংসদ টিভি দেখে অধিবেশন কাভার করার অনুরোধ জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়। অর্থমন্ত্রীর বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনও ভার্চুয়াল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ-বিদেশ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠানো যাবে।