আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সোমবার (৮ জুন) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বোর্ডের সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, তার কোনও উন্নতি হয়নি। তিনি এখনও ভেন্টিলেশনে আছেন, কোনও রেসপন্স নাই। কাল যেমন দেখে এসেছি তেমনি আছেন।
এর আগে রবিবার ( ৭ জুন) তিনি জানিয়েছিলেন, নাসিমের অবস্থা সংকটাপন্ন, খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সোমবার রাতে জানান, মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা খুবই খারাপ। তার শরীরে কোনো কিছুই কাজ করছে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এখন তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান জানান, মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার অবস্থার কোনো উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি।
রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে আগের ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের সময়সীমা বাড়িয়ে মোট ৭২ ঘণ্টার সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার নাসিমের আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে থাকার ৭২ ঘণ্টা পূর্ণ হলেও তার পরিবার ও ডাক্তারদের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
গত শনিবার মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টা পার হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে মোহাম্মদ নাসিমের। এরপর থেকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ নাসিম। প্লাজমা থেরাপি দেয়ার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ব্রেইন স্ট্রোক করায় অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।