মোঃ জহির হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ৭নং বামনী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ ঢালী বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যবয়সী এক মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে নিহতের বড় মেয়ে শাহানাজের (৩৫) জামাই সাংবাদিকদের কে জানান গত ঈদ -উল ফেতরের দিন একই বাড়ির এমারানের ভাতিজা এবং নিহত নুরজাহানের (৫৫) ছোট মেয়ে মায়ার ছেলে পুনমের (১২) সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে, বাচ্ছাদের এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরজাহান ও এমরানের সাথে বাকবিতন্ডতার একপর্যায়ে এমরান ঘর থেকে আনুমানিক ৩ফুটের একটি জিআই পাইপ নিয়ে এসে মধ্যবয়সী নুরজাহানকে সেই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। মারার এক পর্যায়ে নুরজাহানকে বাঁচাতে তার মেয়ে মিলি বেগম,মায়া বেগম এবং মায়ার ছেলে পুনম এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করে এমরান এবং তার বাবা আবুল কালাম ( ৫৫) সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এসময় নুরজাহানকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং মায়ার ছেলে পুনমকে পিটিয়ে একটি পা’ ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পরে বাড়ির অন্যান্যরা এগিয়ে এসে মারাত্নক জখম হওয়া নুরজাহান,পুনম ও তাদের অন্যান্যদেরকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন এবং সেখানে ৯দিন চিকিৎসাবস্থায় থাকলে নুরজাহানের পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে গেলে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আজ বুধবার তাকে পূনরায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এব্যাপারে ৭নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে বিষয়টি সরাসরি কোন পক্ষ থেকে জানানো হয়নি, আমি স্থানীয় মেম্বারের কাছ থেকে বিষয়টি শুনতে পেরেছি। ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক,দেশের প্রচলিত আইনে এর বিচার হবে এটাই আমি আসা করছি।
অপরদিকে নিহতের পরিবার থেকে দাবি করছেন তারা ঈদের দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়পুর থানায় অভিযোগ দিতে উদ্যত হলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ঘটনাটির মিমাংসা করে দিবেন বলে আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি।
রায়পুর থানা অফিসার ইনচার্য তোতা মিয়া জানান বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন,তদন্ত করলে বিস্তারিত জানতে পারবো।
অপরদিকে নিহত নুরজাহানের লাশ লক্ষ্মীপুর থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে এমরান তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে লাশবহনকারী গাড়ির উপর হামলা করে বলে জানান পরিবারের লোকজন। বর্তমানে এমরান ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ এলাকার লোকজন দ্রুত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার দাবি করছেন।