যুক্তরাষ্টের কৃষণাঙ্গ মৃত্যুর জের ধরে গত কয়েকদিনের চলমান বিক্ষোপে প্রায় আমেরিকান সব গুলো স্টেটে দাঙ্গা ছড়িয়েছে . আগুন দেয়া হয়েছে পুলিশের গাড়িতে, গুনীতে ৫ পুলিশ সহ মোট ২১ জনের মতো আহত হয়েছে। বর্তমানে বিক্ষোপের নামে জা হচ্ছে তা হলো দোকান পাট লুটপাট। শপিং মূল থেকে শুরু করে মোবাইল শপ, স্বর্ণের দোকান হামলা করে লুটে নেয়া হচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র। সম্প্রতি আমেরিকান টেক জায়ান্ট অ্যাপলের সবেশকটি বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়. লুটে নেয়া হয়েছে অনেক বিক্রকেন্দ্রের মূল্যবান অ্যাপলের সামগ্রী .
অ্যাপলের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পণ্য হলো আইফোন। যুক্তরাষ্ট্রের লুটকারীরা অ্যাপল স্টোরে চুরি করার সময় এই একটি পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। যারা ফোন চুরি করতে পারেননি তারা ব্যাককভারও ছাড়েননি।
ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস, স্যানফ্রান্সিসকো, নিউইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়া কোথাও এ চিত্রের ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু অ্যাপলের পণ্য লুট করে গায়েব করে দেওয়া সহজ নয়।
অ্যাপল প্রক্সিমিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে লুট করা আইফোনগুলো ডিজেবল করে দিচ্ছে। ফলে লুটকারীরা যখনই ডিভাইসটি খুলছেন তখনই অ্যাপলের পাঠানো সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন। বার্তায় বলা হচ্ছে, এই ডিভাইস ডিজ্যাবল ও ট্র্যাক করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
এই বার্তা দেখে যদি কেউ আইফোন ফেরত দেয় তাহলে তাকে জেলে যেতে হবে না। এর ব্যতিক্রম হলে ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ যেকোনো সময় তাদের দরজায় কড়া নাড়তে পারে।
এদিকে, ভাংচুর ও লুটের জেরে ৬ জুন পর্যন্ত অ্যাপল স্টোর বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।সূত্র : ইউরোপ বাংলা