মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্বের উন্নত দেশগুলি যখন জনসাধারণকে সুরক্ষা করতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ছে সেসময়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে নিরাপদ সুস্থ রাখতে বাংলাদেশর সকল প্রশাসন এবং দলের সকল নেতাকর্মীদেরকে এই প্রাণঘাতী মহামারী থেকে নিরাপদ সুরক্ষা রাখতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন, তখনই মুরাদনগর উপজেলার মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফ,সি,এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক উপজেলার সকল প্রশাসন ও দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি মানবিক নির্দেশ দিয়ে তার মুরাদনগর উপজেলার সকল জনসাধারণ এর পাশে থাকার এবং সর্বাত্মক সেবা প্রদানের অনুরোধ জানান।
মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফ,সি,এ এর নির্দেশ মোতাবেক এই কঠিন দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবসেবায় ব্রত রয়েছেন মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল। তিনি সবকিছু তুচ্ছ করে নিজেকে উপজেলার ২২ টি ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে রাত্র দিন মানুষের সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন, নিজের পরিবারকে ঘরে রেখে, দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি দিনরাতের অধিকাংশ সময় করোনাযুদ্ধে মুরাদনগর উপজেলার স্থানীয় বাজার গুলোতে দাম নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও মানুষজনকে সচেতন করতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এই করনাকালীন সময়ে উপজেলার স্থানীয় বাজার গুলোতে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন প্রতিদিন তিনি। জনসাধারণের জরুরি সেবার জন্য তিনি সরকারি নাম্বারের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত নাম্বারটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রেখেছেন। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও মানুষজনকে সচেতন করতে মুরাদনগর উপজেলা জুড়ে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করছেন তিনি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে নিরলস পরিশ্রম ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেয়ার কারণে সাধারণ মানুষ স্বজন, সহকর্মীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাইফুল ইসলাম কমল,জনগণের কাছে গিয়ে সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলারও অনুরোধ করছেন। শিশু সন্তান পরিবার রেখে কর্মস্থলে করোনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জন্য তার এই যুদ্ধকে প্রশংসনীয় বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অভিষেক দাস এর নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে অবিরাম কাজ কর যাচ্ছেন তিনি। তার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফসল হিসেবে মুরাদনগর উপজেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে গিয়ে এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল জানান, আসলে চাকরি বলেই নয়, মানবিক কারণে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কাজ করে যাচ্ছি নিজের পরিবারকে সময় না দিয়ে আমি মানুষকে সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার কারণে তারা আক্রান্ত হন কি-না সেই ভয়ে ও থাকি। বাসায় তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করি- এটা যে কত কষ্টের তা বুঝানো যাবে না। মানুষের উপকারে আসতে পারাটা অনেক কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। আশায় বুক বাঁধি- এ দুর্যোগ তো স্থায়ী হবে না। করোনা তো একদিন পরাস্ত হবেই। আমরা করবো জয়, একদিন।