দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস এক দিনের বেশি কাপড়ে স্থায়ী হতে পারে। স্টেইনলেস স্টিল এবং প্লাস্টিকের উপর চার দিন থাকতে পারে। এছাড়াও ভাইরাসটি ৪ ড্রিগ্রি সেঃ তাপমাত্রার নিচে বেঁচে থাকতে পারে।
সেক্ষেত্রে ফ্রিজে বেশ অনেকদিন পর্যন্ত এই ভাইরাস টিকে থাকতে পারে। বাজার থেকে আনা মাছ, মাংস, শাক-সবজির সঙ্গে ভাইরাসও ফ্রিজে ঢুকে পড়তে পারে। তারপর সেখানে ভাইরাসটির ১৪ দিন বেঁচে থাকার সম্ভাবণা থাকে।
অন্য কোনো কিছুতে ভাইরাসটি এতো বেশি সময় বেঁচে থাকে না। তাই ফ্রিজ হতে পারে বিপজ্জনক। তাই বলে তো আর, ফ্রিজ ব্যবহার তো বাদ দেয়া যাবে না। মেনে চলতে হবে কিছু সতর্কতা।
জেনে নিন ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন-
- ফ্রিজ খোলার সময় নাক-মুখ দূরে রাখুন। সম্ভব হলে মাস্ক পরে নিন।
- ফ্রিজে হাত দেয়ার পর অন্য কিছু স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- ফ্রিজের জিনিসপত্র ১০০ ডিগ্রি সেঃ তাপের উপরে ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।
- ফ্রিজ থেকে বের করে কাঁচা কোনো জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন- শশা, গাজর, ফল, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি।
- ফ্রিজে রাখা রান্না করা খাবার পুনরায় উচ্চ তাপে গরম না করে খাওয়া যাবে না।
- মাছ-মাংস, শাক-সবজি, রান্না করা খাবার আলাদা করে রাখতে হবে।
- ডিম ফ্রিজে না রাখাই ভালো।
- সপ্তাহে অন্তত এক বার গরম পানি দিয়ে ফ্রিজ সম্পূর্ণ পরিষ্কার করতে হবে।