যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচক ও কিম জং উনের ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত কিম ইয়ং চোলের সাক্ষাতের পরই এই সিদ্ধান্ত আসে বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এখনো সম্মেলনের স্থান ও সময় নির্ধারণ করা হয়নি। সেটি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যস্থতায় এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। দীর্ঘদিনের তিক্ততা ভুলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার মিত্র দেশ চীন ভ্রমণ করে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। কিম ইয়ং চোল যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে বেইজিংয়ে যাত্রাবিরতি নেন।
বিবিসির স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি বারবারা প্লেট উশেরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম ইয়ং চোলের ওয়াশিংটন সফরটি পরমাণু কূটনীতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রথম পদক্ষেপ।
হোয়াইট হাউজ কিছু না বললেও ধারণা করা হচ্ছে, কিম জং উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠকটি সমাজতান্ত্রিক দেশ ভিয়েতনামে হতে পারে।
কারো নাম উল্লেখ না করে মার্কিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আগামী ফেব্রুয়ারিতে ‘সরকারি সফরে’ সমাজতান্ত্রিক দেশ ভিয়েতনাম সফর করবেন।”