ভিন্নরকম বাস্তবতায় সারা বিশ্ব আজ অস্থিতিশীল। নিত্য মানূষ প্রান হারাচ্ছে অচেনা করোনায়। স্তব্ধ হয়ে গেছে পৃথিবী। ভয়ার্ত মহামারী বাংলাদেশেও ছড়িয়েছে, জীবন বাঁচানোই এখন রাজনীতি। সরকার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা চালাচ্ছে, মানূষ নির্দেশ মানছেনা। জাতীয় দুর্যোগেও বিদ্রুপ আর সমালোচনার কমতি নেই। টেলিভিশন ছাড়াও এখন জুম আলোচনা চলছে সর্বত্র। বিষয় করোনা হলেও মূল আলোচনা রাজনীতি।
একজন আমাকে প্রশ্ন করেছেন, দেশে কি এখন একনায়কতন্ত্র চলছে? প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কারো কোন ভূমিকা নেই কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার এখতিয়ার যেমন আমার নেই, যোগ্যতাও নেই। তবুও জানতে চেয়েছি এমন ভাবনাটি মাথায় এলো কেন? অনেকেরই লেখা পড়ি, কিছু মানূষের লেখায় কেমন যেন একটা ক্ষোভ দেখতে পাই।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকগুলি বিপদ মোকাবেলা করেছে। বি ডি আর বিদ্রোহ, হেফাজতি বিদ্রোহ, হলি আটিজম, বন্যা, সাইক্লোন, আর আগুন সন্ত্রাস। আগের সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক দুরাবস্থাটিও মোকাবেলা করেছে সরকার। সব কিছুতেই সাফল্যের সাথে জয়ী হয়েছে সরকার। দরিদ্র অবস্থান থেকে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করেছে। দেশী বিদেশী চক্রান্ত মোকাবেলা করে পদ্মা সেতু নির্মান করেছে। উৎপাদন, রপ্তানী আর রাজস্ব শক্তিশালী করেছে। যে সব দেশ বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে বিদ্রুপ করত,তারাই এখন উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের প্রশংসা করে। কৃতিত্বটি দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আজও কোভিড-১৯ বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার এই দুর্যোগও মোকাবেলা করছে এবং প্রশংসিত হচ্ছে। সরকারের সব সিদ্ধান্তই কেবিনেট মিটিং এ নেওয়া হচ্ছে। তাহলে একনায়কিত্বের ভাবনাটি মাথায় এলো কেন? সরকারী সাহায্য বিতরনের অনিয়ম হয়েছে, ধরাও পরেছে। যদি কারোকাছে কোন অনিয়মের খবর জানা থাকে তা, দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে সরকারকে অবহিত করাইত একমাত্র দায়িত্ব। তা না করে যে ভাবে ঢালাও সমালোচনা চলছে, তা আসলে রাজনীতি। ক্ষমতা দখলের বা আন্দোলন উষ্কে দেওয়ার রাজনীতি। প্রবাসেও এখন রাজনীতি চলছে একটি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে। দেশের দুঃসময়ে এমন রাজনীতি শুভ লক্ষন নয়। ধর্মান্ধ উষ্কানিটিও থেমে নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সংগবদ্ধ দল কৌশলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দেশে এবং বিদেশে। এই প্রচেষ্টাটিকে মোকাবেলা করা এখন জরুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবকিছুই মনিটর করছেন। এই বিষয়টিকেও মনিটর করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। একটি লেখা দেখেছি গতকাল ” আওয়ামী লীগের পচন ধরেছে” – আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চোর বা অপরাধী দলীয় পরিচয়ে বিবেচীত হবেনা। আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাই দেশের কল্যানে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে এবং রাখছে। দেশের মানূষ শেখ হাসিনাকেই বিশ্বাস করে আর ভরসা করে। দীর্ঘদিন সরকার পরিচালনায় শেখ হাসিনা তার স্বচ্ছতা, নির্মোহতা আর সততা প্রমান করেছেন। দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প নেতা নেই।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
২৩ মে ২০২০।