১৯৭৯ সাল থেকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা ও জেরুজালেম নগরী আল-কুদসকে মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে প্রতি বছর রমজানের শেষ শুক্রবার পালন করা হয় বিশ্ব কুদস দিবস।
ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবর দখল করে বর্বর নির্যাতনের ধারা অব্যাহত রেখেছে ৭০ বছর অতিক্রম করেছে। ফিলিস্তিনিদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জাগ্রত রাখা এবং ইসরাইলের প্রতি বিশ্ব মুসলমানের ঘৃণা প্রকাশ হয় এই কুদস দিবস পালনের মধ্য দিয়ে। এটি এখন শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের দিবস নয়, এটি এখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিবসে পরিণত হয়েছে। তাই প্রতি বছর এই দিবস পালনে মানুষের মাঝে আগ্রহও বাড়ছে।বিশ্ব কুদস দিবস পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আর আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদেরকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনা।কুদস দিবসের আরেকটি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, বায়তুল মোকাদ্দসকে রাজধানী করে এবং মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন সরকার গঠনের ব্যবস্থা করা।১৯৭৯ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওই বছর থেকে বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালন করা হচ্ছে।