প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৪৭ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর ৪১ সদস্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দফতর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন জানান, বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেল ৪টা পর্যন্ত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর করোনা আক্রান্তদের মধ্যে থেকে ৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন আনসার সুস্থ হয়েছেন ৮ জন, অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন এবং নার্সিং সহকারী সুস্থ হয়েছেন একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বাহিনীর ১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ২৪৭ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় অক্রান্ত হয়েছেন ২১৪ জন এবং ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক একজন, ৯২ জন ব্যাটালিয়ন আনসার, ১৪৯ জন অঙ্গীভূত আনসার, একজন বিশেষ আনসার, একজন নারী আনসার, একজন সিগন্যাল অপারেটর ও একজন ভিডিপি সদস্য।
আক্রান্ত সদস্যদের মধ্যে ৭৭ জন ব্যাটালিয়ন আনসার জাতীয় সংসদ ভবনে এবং ১১৩ জন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ঢাকা মহানগর পুলিশের সাথে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া বাকিদের কেউ সদর দফতর এবং কেউ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত রয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন একজন। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৮২ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, সাজেদা মেডিকেল ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বাহিনীর ১৫৯ জন সদস্য করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বাহিনীর আব্দুল মজিদ নামে একজন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণকারী সদস্য আব্দুল মজিদ পিসি অঙ্গীভূত আনসার (আইডি নং-১৩১৮৯)।তার বাড়ি বগুড়ায়। মৃত্যুর আগে তিনি গুলশান বিভাগের ভাটারা থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ১১ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।