আগামী ৩১ মে এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই দিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক পত্রের মাধ্যমে উল্লেখিত তারিখ ও সময় নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
জানা গেছে, আগামী ৩১ মে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করবেন। এরপর মোবাইল মেসেজ ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এ ফলাফল তুলে ধরা হবে। এ বছর এসএসসির ফল অনলাইনে প্রকাশিত হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হবে না। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ফল প্রকাশের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া যাবে না।
এবার শিক্ষাবোর্ডগুলো আরও সহজে ফল জানার ব্যবস্থা করেছে। এ জন্য গত সোমবার থেকে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। এই প্রাক-নিবন্ধন করলে প্রথমদিকে ফল পাওয়া যাবে। তবে আগের মতো নির্ধারিত পদ্ধতিতেও মোবাইল ফোনে খুদে বার্তায় ফল জানা যাবে। SSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। আর এতে খরচ হবে ২ টাকা ৫৫ পয়সা। ফল প্রকাশের সাথে সাথে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে ফলাফল পৌঁছে যাবে।
এছাড়া নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে। ফল প্রকাশের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস বন্ধ রাখতে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে ফল প্রকাশের পর এবার ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল চলতি মাসের মধ্যে ঘোষণা করা হলে আগামী ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এবারও কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বোর্ড দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
উল্লেখ্য, এবার এসএসসি-সমমান পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরস্বতী পূজা ও ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় সারাদেশে ১০টি বোর্ডের অধীনে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।