মোঃ লোকমান হোসেন, যশোর প্রতিনিধি: যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘরের উপর গাছ পড়ে মারা গেছে মা-মেয়ে সেই সাথে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরেক নচিমন চালকের। আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত লোকজন।
এছাড়াও গাছ উপড়ে ডাল ভেঙ্গে পড়ায় বিভিন্ন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে কাজ করেছে যশোর জেলার ফায়ার সার্ভিসের সবকয়টি ইউনিট।এদিকে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে, তবে সে ক্ষতির পরিমান এখনও নিরুপন হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রষারণ কর্মকর্তা।
গতকাল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঘুর্ণিঝড় আম্পান যশোরে আঘাত হানে। যশোরস্থ বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, রাত ১২ টার দিকে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। ঝড়ের তান্ডবে রাতে চৌগাছা উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি ঘরের উপর গাছ পড়ে খ্যান্ত বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া নিহত হন এবং শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের মুক্তার আলী নামের এক ইজিবাইক চালক গাছের ডাল পড়ে নিহত হয়েছেন।
ঝড়টি যশোর অতিক্রম করার সময় গাছ-পালা ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। সকাল হতেই যার চিহ্ন মেলে। যশোরের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয়দের অভিমত,স্মরণকালে তারা এমন ভয়াভহ ঝড় কখনোই দেখেননি।এদিকে গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় যশোরের সাথে খুলনা ও সাতক্ষীরার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।এ ঝড়ে আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে যশোর জেলার ফায়ার সার্ভিসের সবকয়টি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী হবে।