প্রদীপ কুমার দেবনাথ, স্টাফ রিপোর্টার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের মাননীয় সাংসদ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা, মানুষের প্রতি ভালবাসার কারণে প্রাজ্ঞতার স্বাক্ষর রেখে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে তিনি নাসিরনগরকে সম্পূর্ণ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মুক্ত জনপদ করতে সক্ষম হয়েছেন।
সাংসদের অনুপ্রেরণায় উপজেলা প্রশাসন নাসিরনগরের থানা পুলিশদের সহযোগিতায় উপজেলার প্রবেশ পথে লোকজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং জরুরি কাজে আসা-যাওয়া ব্যক্তিদের উপর নজরদারি ও সতর্কতা অবলম্বন করে। তাছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ মাননীয় সাংসদের পরামর্শক্রমে ব্যাপক তৎপরতার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করে জনগণকে অবাধ চলাফেরা থেকে বিরত রাখে এবং ঘরে থাকতে পরামর্শ দেয়। এখানে লক্ষ্যনীয়, মাননীয় এম.পি মহোদয়ের এ নির্দেশনা দলমত নির্বিশেষে সকলেই গ্রহণ করে এবং নাসিরনগরকে করোনা মুক্ত রাখতে অবদান রাখে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মাননীয় সাংসদের নির্দেশনা ও সরকারি নির্দেশনা দক্ষতার সহিত পালন করতে নিরলস পরিশ্রম করেন মাননীয় ইউএনও মহোদয় অধীনস্হ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে। এখনও সর্বত্র প্রশাসনের নজরদারি, সতর্কতা লক্ষ্যণীয়।
এম.পি বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাহেবকে সর্বদা সহযোগিতা করে যাচ্ছে নাসিরনগর থানা পুলিশ। ওসি সাজেদুর রহমানের দক্ষ পরিচালনায় ওসি তদন্ত ও এস আই – এ এস আইদের নেতৃত্বে প্রতিদিন নাওয়া খাওয়া ভুলে সকল অপরাধ দমনসহ করোনা কালীন সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বাস্তবায়নে মাননীয় এম পি মহোদয়কে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য এই করোনা কালে সরকারি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাসিরনগরে সংঘটিত প্রায় ৭/৮ টি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কঠোরভাবে দমন করে তারা।
মাননীয় এমপি মহোদয় বর্তমান দুর্যোগ চলাকালে সরকারি ও নিজস্ব তহবিল হতে হতদরিদ্র, কর্মহীন মানুষদের তথ্য সংগ্রহ করে নগদ অর্থ, ত্রাণ বিতরণ করছেন নিয়মিত। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বরাদ্দকৃত উপহার প্রকৃত ব্যক্তিদের হাতে যাতে পৌঁছে তার নির্দেশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিকট পৌঁছানো সহ এ বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
করোনাকালে ডাক্তার, নার্স ও সাংবাদিকগণ যাতে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে পারেন এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পিপিই, স্যানিটাইজার সহ সহায়ক জীবানুনাশক প্রদান করছেন। হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় কীট, নমুনা সংগ্রহের উপকরণসমূহ যোগানের ব্যবস্থা করেছেন।
মাননীয় সাংসদের পরামর্শক্রমে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায়ের তৎপরতায় নাসিরনগরে করোনার লক্ষণ দেখা মাত্র নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
এককথায়, মাননীয় এমপি বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, নার্স, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষের আন্তরিকতা, সতর্কতার কারণে নাসিরনগর আজ সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত।