খোলা জায়গায় জীবাণুনাশক ছিটালে করোনা ভাইরাস দূর হয় না বরং এতে আরো স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শনিবার (১৬ মে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এ সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, খোলা জায়গা যেমন রাস্তা অথবা মার্কেটের মতো জায়গায় জীবাণুনাশক ছিটিয়ে করোনা দূর করার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে না। কারণ ধূলাবালিতে জীবাণুনাশক কাজ করে না।
খোলা স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট অথবা সংস্পর্শ থেকে করোনার সংক্রমণ জীবাণুনাশক ঠেকাতে পারে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রাস্তাঘাট বা ফুটপাতকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের স্থল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। তবে এ ধরনের জীবাণুনাশক ছিটানো মানবস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের জীবাণুনাশক কোনো পরিস্থিতিতেই কারও গায়ে না ছিটানোর ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, এটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। আর এতে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বা সংস্পর্শ থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানো ঠেকানো সম্ভব নয়। আর মানসিক ক্ষতির বিষয়টি হলো, তার মধ্যে একটি ‘মিথ্যা নিরাপত্তা বোধ’ (ফলস সেন্স অব সিক্যুরিটি) তৈরি হতে পারে। এর ফলে কম সতর্ক হওয়ার হওয়ার কারণে তার সংক্রমিত ও সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাছাড়া ক্লোরিন বা এ ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের চোখ এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ (bronchospasm) এবং অন্ত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি ঘরের ভেতরে ছিটালে কাজ হয়- কোনো গবেষণায় এমন প্রমাণ মিলেনি। নথিতে বলা হয়েছে, ঘরের ভেতরে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করতে চাইলে অবশ্যই কাপড় বা অন্য কিছু ভিজিয়ে মুছতে হবে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ৩১৭ জন। মারা গেছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ২৯৮ জন।