করোনায় বিপর্যস্থ বিশ্ব এখন দুঃসময়ে পার করছে।আক্রান্ত সব দেশেরই চিত্র অভিন্ন। জীবন মৃত্যুর ভয়ে মানূষ এখন আতংকিত। বাংলাদেশের অবস্থা আরো কঠিন, মূল জনসংখ্যার সাথে দশ লক্ষ রোহিংগাকেও পুষতে হচ্ছে। শুধু খাদ্যই নয় মানূষকে সুস্থ্য রাখতে নানামূখি পদক্ষেপ নিতে হয়েছে সরকারকে। এমন দূঃসময়ে কিছু অসত মানূষ অনুদানের অর্থ আত্নসাধকরে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকার কঠোর অবস্থানে থেকে তাদের শাস্তি দিয়েছে। সরকারি অনুদান অনিয়ম আর চুরির ঘটনা এবারই প্রথম নয়, তবে এবারের চিত্রটি ভিন্ন কারন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তদারকি করছেন সব।
জাতীয় প্রয়োজনে দেশের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করবেন এটাই গনতান্ত্রিক শিষ্ঠাচার এবং দেশের মানূষের প্রত্যাশাটিও তা‘ই ছিল। দুঃখজনকভাবে করোনার মত ভয়াবহ মহামারিতে বিরোধী দলের অংশগ্রহন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং সরকারে বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার চালিয়ে জনগনকে উত্তেজীত করার চেষ্টা করেছে বিরোধী দল এবং তার নেতারা। নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে যেন সরকার সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা নিরব দর্শক হয়ে অপেক্ষা করছেন সরকারের ভুল আবিস্কার করতে, জনগনের স্বার্থে এগিয়ে আসেননি। আবেদন নিবেদন সত্বেও বিরোধী দলের নেতারা সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়নি কোথাও। এখন যখন সরকার একটি স্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করেছে তখন এলাকাভিত্তিক রিলিফ অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে কমিটি গঠন করে দায়িত্ত্ব দিয়েছে নেতাদের। বি এন পি অফিস থেকে ব্রিফিং প্রচার করা হচ্ছে ” সরকারের ব্যর্থতায় মানূষ মারা যাচ্ছে“। এটা রাজনীতি নয় ভুল নীতি।
রাজনীতি জনগনের জন্য এবং জনগনকে বাচাতেই রাজনীতি করবেন নেতারা। জনগনকে বিপদে ফেলে যারা ক্ষমতায় যাওয়ার বক্র পথ খুজেন তারা আর যা‘ই হউক জনগনের বন্ধু হতে পারেননা। সরকার বহু প্রতিকুলতার মধ্যেও দেশে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রেখেছে। আশাংকাজনক মৃত্যু ছড়াতে পারেনি দেশে। মানূষের কষ্ট লাঘবের জন্য নানাবিধ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশেও যখন অকাতরে মানূষ জীবন হারাচ্ছে তখন বাংলাদেশের মত একটি ঘনবসতীর দেশে মৃত্যু সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের সাফল্য স্বীকার করতেই হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাষায় বলেছেন ” অপরাধীকে অপরাধী হিসাবেই বিচার করা হবে কোন দলীয় পরিচয়ে নয়“। সরকার প্রধানের এমন উক্তিকে যারা কটাক্ষ করছেন তাদের মতলব ভাল মনে হচ্ছেনা। সুযোগ সন্ধানীদের এমন চরিত্র ৭৪ সালেও দেখা গেছে। সরকারের সমালোচনা করে দেশের ক্ষতি করে স্বার্থ হাসিল করেছে নীজেদের। ৭৪ এর জঞ্জাল পরিস্কার করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে, আর কোন ষড়যন্ত্র সংগঠিত হতে দেওয়া যাবেনা। নিত্য অভিযোগকারি নেতাদের পঠিত বক্তব্য সত্য প্রমানীত হয়নি ১১ বছরে একটিও, এবারও হবেনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
১২ মে ২০২০।