প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় এবং ঈদের আগে মাত্র চারটি কর্মদিবসের জন্য অফিসগুলো না খুলে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাস হোসেন বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পায়নি। প্রধানমন্ত্রী ছুটি বিষয়ে যদি সিদ্ধান্ত দেন, তাহলে ঈদ পরবর্তী সময় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিবেন।’
‘তবে বর্তমান সিমটম (লক্ষণ/উপসর্গ) বা যে অবস্থা, সবকিছু মিলিয়ে তো আমার মনে হয় ছুটি বাড়বে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ছুটির বিষয়ে কবে নাগাদ সরকারের সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (১৩মে)-পরশুর (১৪মে) মধ্যে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে মাত্র চারটি কর্মদিবস রয়েছে। সে হিসেবে চারদিনের জন্য অফিস খুলে আরও সমস্যা হতে পারে। এজন্য ওই চারদিন এবং ঈদের বন্ধসহ ঈদ পরবর্তী সময় পর্যন্ত ছুটির ঘোষণা আসতে পারে।
ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২১ মে শবে কদরের ছুটি রয়েছে, ২২মে এবং ২৩মে সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটি রয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি অফিস সমূহ প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়।পরবর্তীতে তা কয়েক ধাপে ১৭ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৯ জন শনাক্ত হওয়ায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ হাজার ৬৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আরও ১১ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬ হাজার ৮৪৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৬ হাজার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নতুন করে মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং চারজন নারী বলে জানান নাসিমা সুলতানা। ঢাকার পাঁচজন, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর একজন করে এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে দুজন করে মারা গেছেন।
এছাড়া নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট ৩ হাজার ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান তিনি।