মোঃ জহির হেসেন, লক্ষ্মীপুরঃ দীর্ঘ ৫০ বছর পর রায়পুর অসহায় সৈয়দ আহম্মদের পরিবারের মুখে হাঁসি।
বহু প্রতিক্ষার পর লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌর ৯ নং ওয়ার্ডের অসহায় রিক্সা চালক সৈয়দ আহম্মদের (ছৈয়া) পরিবারের মুখে হাঁসি ফিরেছে। যার বাড়ি রায়পুর এল এম স্কুলের পিঁছনে।
আজ শনিবার (৯ মে) ১৩১১ দাগ নিয়ে পৌর ৯ নং ওয়ার্ডে একটি শালিশ বৈঠকে সিন্ধান্ত হয় ২ ডিসিম জমিতে ঘর মেরামত করার কোন বাধা নেই। বাকি জায়গা গুলো করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বুঝিয়ে দিবে শালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এতে সৈয়দ আহম্মেদ ও তার প্রতিবন্ধি স্ত্রী খুশি।
অসহায় রিক্সা চালক সৈয়দ আহম্মেদ (ছৈয়া) (৬৫) জানান রায়পুর পৌর ৯ নং ওয়ার্ডে, রায়পুর এল এম স্কুলের পিঁছনে তার খরিদক্রিত ২৭ ডিসিম সম্পত্তি থেকে ও বাস্তু হারা হয়ে থাকতে হয়। কোন রকম ১ ডিসিম সম্পত্তির মধ্যে ঝুপড়ি ঘর করে থাকেন। বৃষ্টি এলেই ঘরে পানি পড়ে। নেই কোন টয়লেট ব্যাবস্থা।
তিনি বলেন তার জমি তার ঘরের পােশেই আছে। তার মায়ের মৃত্যুর পর ঝুপড়ি ঘরের সামনেই মাকে কবর দেন। তাতেও বাধা দেন তার জমি অপদখলকারিরা। প্রতিবন্ধি স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকম থাকেন।
তিনি জানান ৭ ভাই বোন সহ ৯ ডিসিম জমি কিনেন ১৩১১ দাগে ২০১৩ সালে। তার মায়ের সম্পত্তি ছিল ১৮ ডিসিম, সর্ব মোট এই দাগে তার সম্পত্তি ২৭ ডিসিম। প্রতিবেশি প্রভাবশালীরা তার সকল সম্পত্তি দখল করে রাখে। এই সম্পত্তি নিয়ে প্রায় চোটবড় ৪০/৫০ টি শালিশ বৈঠক হয় কোন সমাধন আসেনি।
গত কয়দিন পূর্বে তার ঝুপড়ি ঘরটি মেরামত করেতে গেলে তাতেও বাধা দেয় প্রভাবশালী দখলদাররা। এতে বিপাকে পড়েন অসহায় সৈয়দ আহম্মদের পরিবার।
খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তার বাড়ি যান তিনি সাংবাদিকদের বিস্তারিত সমস্যা বলেন এবং তার ২৭ ডিসিম সম্পত্তির দলিলপত্র দেখান। সাংবাদিকরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। টনক নড়ে প্রশাসন সহ সকলের।
এর ভিত্তিতে আজ শালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আপাতত ২ ডিসিম সম্পত্তিতে তার ঘর তুলতে কোন বাধা নেই। বাকী সম্পত্তি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এমন সিদ্ধানতের ফলে একটা অসহায় পরিবার দীর্ঘদিন হলেও তার ন্যায্য অধিকার নিজ সম্পত্তি ফিরে পেতে যাচ্ছে। এর ছেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সকলকে।