আজকের এই দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন লন্ডন থেকে ২০০৮ সালে। দেশে সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সরকার তখন। সংবাদ ছড়িয়েছিল নেত্রীকে বিমানবন্দরে হত্যা করা হবে। ষড়যন্ত্রটি সফল হয়নি, জানাজানি হয়ে গিয়েছিল আগেই। লন্ডন থেকে দেশে যাওয়ার আগে নেত্রী কানাডায় অবস্থান করেছিলেন কিছুদিন। টরেন্টোর পিয়ারসন্স বিমানবন্দরে আমি বিদায় জানিয়েছিলাম নেত্রীকে। সংবাদটি দিয়েছিলেন আমার সভাপতি জনাব সরওয়ার হোসেন। আমাকে এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকতে বলেছিলেন। আমি সময়ের আগেই চলে গিয়েছিলাম এয়ারপোর্টে। নেত্রী এসেই বললেন ” চলে এসেছো”। আমি সালাম দিয়ে হা সূচক জবাব দিতেই নেত্রী আবার বললেন ” “দোয়া করো আমি দেশে যাচ্ছি”। এবারই প্রথম নেত্রীর সাথে একান্তে কথা বলার সূযোগ পেয়েছিলাম, কিছু কথাও বলেছিলাম। আমার কথা শুনে নেত্রী বলেছিলেন ” তোমার কথাই যেন সত্য হয়”। তা’ই হয়েছে। নেত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। আমাদের মত সাধারন কর্মীদের ভাবনাও সত্যি হয়ে যায় কখনো কখনো। সেদিনের মত আজও আবার শঙ্কা হচ্ছে। একটি অশুভ শক্তি সংগঠিত হচ্ছে দেশে এবং বিদেশে। হয়তো গোয়েন্দারা সংবাদ রাখছেন আশাকরি। করোনার সংক্রমনকে ব্যবহার করে গোপন ষড়যন্ত্র সংগঠিত হচ্ছে জোরে-সোরে। জাতীয় দুঃসময়ে চিহ্নিত শত্রুরা সুযোগ নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন চেষ্টা নতুন নয় তবে শত্রুরা পরাস্থ্য হয়েছে বার বার, এবারও হবে ইনশাল্লাহ। সরকার যেমন সচেতন রয়েছে,জনগনও এখন সবই বোঝে। দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও পিছপা হয়নি কখনো, এখনো হবেনা। ষড়যন্ত্রকারীদের মূখে ছাই ছিটিয়ে দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আছে থাকবে ইনশাল্লাহ। করোনা মহামারি একদিন শেষ হবেই, চিহ্নিত শত্রুরাও পরাজিত হবে অবধারিতভাবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী ওয়াকিবহাল আর অবগত। করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে দেশকে ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌছে দিবেন ইনশাল্লাহ। বিধাতার কাছে প্রার্থনা করি যেন সব বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে আর জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ু হন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
৭ মে ২০২০।