চট্টগ্রামের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মুরুংঘোনা এলাকা থেকে এক যুবতী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ৬মে দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। চকরিয়া মডেল থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উল্লেখিত স্থানে এক যুবতীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন ফোন করে চকরিয়া মডেল থানায় অবহিত করে। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করেন। ঘটনার খবর পেয়ে যুবতীর পিতা কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়ার রহুল আমিন উদ্ধারস্থলে গিয়ে তার কন্যার লাশটি সনাক্ত করেন। নিহত যুবতীর নাম চম্পা। বোনের ছেলেকে বিয়ে না দেয়ায় খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করেছেন পিতা।
বয়স ১৮/১৯ বছর হবে বলে পুলিশকে নিহত যুবতীর পিতা রুহুল আমিন জানিয়েছে। পুলিশকে দেওয়া রুহুল আমিনের ভাষ্য মতে, চট্টগ্রাম থেকে তার কন্যা নিহত চম্পা চকরিয়া জনতাবাজার (গরুবাজার) বাস স্টেন্ড পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে উপকুলীয় সড়ক দিকে কক্সবাজারে আসার জন্য একটি সিএনজি-তে উঠে। সন্ধ্যার দিকে পিতার সাথে নিহত চম্পার মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপকূলীয় রোডের কোনাখালী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মুরুংঘোনা এলাকায় স্থানীয় লোকজন রাস্তায় পড়ে থাকা চম্পার লাশটি দেখতে পায়।
চকরিয়া মডেল থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান আরো জানান, যুবতী চম্পা’র লাশটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। লাশটি উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চকরিয়া মডেল থানা ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে। থানায় নিহত তরুনী চম্পা’র পিতা-মাতা ও স্বজনেরা রয়েছে।
চম্পা হত্যার ক্লু বের করে আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য রাতেই অভিযান চালানো হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে বৃহস্পতিবার ৭ মে পাঠানো হবে। এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান, চকরিয়া মডেল থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান।