প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে।
সংস্থাটির প্রধান কার্যালেয় ম্যানিলাতে বৃহস্পতিবার (৭ মে) এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে ঢাকায় অবস্থিত এডিবি’র কার্যালয় থেকে এক বার্তায় জানান হয়।
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল এডিবি বাংলাদেশের ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। এই নিয়ে সংস্থাটি মোট ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করল।
বার্তায় বলা হয়, এই অতিরিক্ত ঋণ অনুমোদন বিষয়ে এডিবি’র প্রেসিডেন্ট মাসাটসুগেু আসাকাওয়া বলেন, ‘করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই দেশটির পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। এই ঋণ সেই সহযোগিতারই অংশ, যাতে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা আরো বাড়ানো যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন সহযোগীসহ সকলেরই সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করছি। যাতে এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে সহায়তা করা যায় এবং গরিব মানুষকে সহযোগিতা করা যায়, বিশেষ করে যারা এই দুর্যোগে কাজ হারাচ্ছেন। এই ঋণ থেকে ১৫ মিলিয়ন গরিব মানুষ সহযোগিতা পাবে।’
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল সংস্থাটি জানায় নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এডিবি বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। এই ঋণ করোনা মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয় করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে করোনা মোকাবিলা সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। যাতে স্বাস্থ্যখাতের সামগ্রিত বিষয়ের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন এবং সিসিইউ (ক্রিটিকেল কেয়ার ইউনিট) স্থাপন করা হবে। কমপেক্ষ ১৯টি ল্যাবের মান উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি এই প্রকল্পের আওতায় কমপক্ষে ৩৫০০ জন (৫০ শতাংশ নারী) স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীকে করোনা মোকাবিলায় আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এ ছাড়া গত মার্চে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৩ লাখ ডলার জরুরি আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল এডিবি। ‘করোনা ভাইরাস ২০১৯ প্রতিরোধে এবং অন্য ভাইরাস মোকাবিলায় আঞ্চলিক পর্যায়ের কারিগরি সহায়তা’. শীর্ষক এডিবির আঞ্চলিক তহবিল থেকে ওই জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।