কোভিড-১৯ শেষ হয়নি কোথায়ও। কোন কোন দেশে সীমিতভাবে সামাজিক নিরাপত্তায় শিথিলের ঘোষনা দিয়েছে। বাংলাদেশেও অনেকেই নিষেধাজ্ঞা মানছেনা এবং মানূষ বের হতে শুরু করেছে। গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলেছে কেউ কেউ এবং সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই। ঈদ মৌসুমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাই কড়াকড়ি করেও লাভ হচ্ছেনা। মানূষের অস্থিরতাটিও অযৌক্তিক বলা যাবেনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানূষ বের হয়ে পরছে। সময় বিবেচনা করা আনবিক তাই করনীয়টি এখন অগ্রাহ্য হচ্ছে বৈকি! এমন পরিস্থিতিকে পুজি করে বি এন পি নেতারা সুযোগ নিচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার। সামাজিক দুরত্ব লংঘিত হলে সংক্রমন বাড়বে সে কথা সবাই জানে কিন্তু, এমন পরিস্থিতিতে করনীয়টি নির্ধারন করা কঠিন। করোনা সংক্রমন ছড়ানোর শুরু থেকেই বি এন পি নেতারা শুধু সমালোচনাই করে চলেছে। জনগনের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। এখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু’এক জায়গায় ত্রান বিতরন করলেও দলীয়ভাবে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এবং জাতীর এই দুর্যোগে কঠোর সমালোচনায় নেমে পরেছে রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের জন্য। এটি রাজনীতি নয় অপকৌশল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকেই বি এন পি’র বিরোধী তৎপরতা একদিনের জন্যও থামেনি। সরকারের আকাশচুম্বী সাফল্যকেও তারা ব্যর্থতা দাবী করেছে প্রতিদিন। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্থ হয়ে বাংলাদেশ সরকার যখন মানূষের সাহায্যে নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সেই কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে বি এন পি নেতাদের এমন বক্তব্য জাতীর সঙ্গে বেইমানি করার সামিল। বিশ্বের শক্তিধর দেশ আমেরিকার সরকার যখন করোনার সংক্রমন মোকাবেলায় বেশামাল হয়ে পরেছে তখন, বাংলাদেশে এখনও মৃতের সংখ্যা নিম্ন পর্যায়ে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ অনেকেই ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। মৃতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রাখার সাফল্য ও যে সরকার দেখিয়েছে সেই সত্যটি স্বীকার করতে বি এন পি চায়না রাজনৈতিক কারনে। জাতীয় দুর্যোগে জনগনকে ক্ষেপিয়ে সরকারের জনপ্রিয়তাকে আঘাত করে একটা অঘটন ঘটাতে চায় বি এন পি। বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত হয়েছেন, তারেক জিয়াও দুর্নীতি মামালায় দন্ডিত পলাতক আসামি। নির্বাচনে অযোগ্য দুই জনই। সাংগঠনিক অক্ষমতায় এখন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বি এন পি’র নেই তাই, বক্র পথেই ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারা করছে তারা। জামাত কে ছাড়েনি এই কারনেই। জামাত বি এন পি’র অর্থ যোগানদাতাই শুধুনা জামাত কর্মীরাই বি এন পি’র প্রধান শক্তি এখন। প্রবাসে চলছে যোগাযোগ আর অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা। জনগনকে ক্ষেপাতে পারলে জামাত- বি এন পি মিলে আবার কোন অপকর্ম ঘটানোর চেষ্টা চালাতে চায় দেশে। কিন্তু জনগন উদ্দেশ্যটি ধরে ফেলেছে, এটাই সূখের কথা। জনগনের সম্পৃক্ততা পাবেনা বি এন পি।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
৭ মে ২০২০।