প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই শঙ্কা হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা দুর্যোগের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সরকারের উপর দায় চাপিয়ে জনগনকে উষ্কে দেয় আর আঘাত হানে নির্মম ভাবে। ৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার আর অপপ্রচার করে একই অবস্থা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর আবেদন নিবেদনকে বিদ্রুপ করে দেশজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তুলেছিল নেতারা। স্বাধীনতা বিরোধী জামাত আর বিদেশী শত্রুকে আঘাত হানার পথ সৃষ্টি করে দিয়েছিল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় নেতাদের হত্যা করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। স্বাধীনতা যূদ্ধের মূলমন্ত্রকে উপেক্ষা করে মৌলবাদী রষ্ট্রে পরিনত করেছিল খুনী চক্র। খুনীদের সেবা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, সঙ্গে জামাতকেও। কোভিড-১৯ বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে, বিপর্যয় এসেছে বাংলাদেশেও। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও সম্ভব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্থ্ মানূষের পাশে এসে দাড়িয়েছে আপদকালীন প্রণোদনা নিয়ে। নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা আর সমালোচনা। এখনই সময় ভেবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সরকার বিরোধী তৎপরতা। এবার ষড়যন্ত্রটি হচ্ছে প্রবাসে। জামাত- বি এন পি’র একটি বড় অংশ বিদেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালাতে অর্থ সংগ্রহ করে চলেছে। জামাতের একজন বড় নেতা এবং বি এন পি’র প্রবাসি নেতা যোগাযোগ রক্ষা করছেন সবখানে। উত্তর আমেরিকাতেও এখন এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে উল্লেখিত দলের নেতা-কর্মীরা। প্রতিদিন সোশাল মিডিয়াতে এমন বিদ্রুপ ছাড়াও মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে কৌশলে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই লেখা পড়ে ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন, দোষ চাপাচ্ছেন সরকারকেই। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অনেকে না বুঝেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। ষড়যন্ত্রকারিরা জানে বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচনের অযোগ্য হয়েছেন আগেই। বক্র পথে ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার তাদের আর কোনই পথ খোলা নেই। জনগনের সমর্থনও হারিয়েছে দলটি অভিযুক্ত নেতৃত্বের কারনে। বেগম জিয়া সাময়িক মুক্তি পেলেও কথা বলতে পারছেননা, তারেক জিয়া সুযোগ পেলেই হুংকার দেন ক্ষমতা দখলের। বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তারেক জামাতকে ছাড়বেনা অর্থনৈতিক কারনে আর জামাত বি এন পি’কে ব্যবহার করছে স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে। আলামত হিসাবে সাঈদির মুক্তি আন্দোলনকেই বেছে নিয়েছে দুই দল। এটাকেই উত্তম সুযোগ কল্পনা করেছে চক্রটি। সাঈদিকে মুক্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য নয়, মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে আবার একটা বিদ্রোহ গড়ে তোলা। অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হলেই আবার তারা মরন কামড় দিতে চায় দেশে। চক্রটি বুঝে গেছে চলতি মেয়াদে পদ্মা সেতু চালু হলে, মেট্রো রেল,ফ্লাই ওভার সহ সবক’টি উন্নয়ন প্রকল চালু হলে জামাত বি এন পি’র অস্থিত্ব সংকট দেখা দিবে। তাই এখনই সময় শেখ হাসিনাকে আঘাত করার। দেশে সাঈদির মুক্তি আন্দোলন নমূনা কেবল, মূল উদ্দেশ্যটি ভয়ংকর। আরেকটি ১৫ ই আগষ্ট ঘটানোর সুযোগ দেওয়া যাবেনা। সকলকেই চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
২ মে ২০২০।