অবশেষে গণস্বাস্থ্যের ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পের কিট তৈরির জন্য ইংল্যান্ড থেকে এলো রিএজেন্ট।
লকডাউন শিথিল হওয়ায় শনিবার (২ মে) একটি বিশেষ ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে এ রিএজেন্ট। যা দিয়ে আরও অন্তত এক লাখ কিট তৈরি করতে পারবেন গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানীরা।
রিএজেন্ট আসার বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড থেকে আমরা যে রিএজেন্ট আনতে চেয়েছিলাম, সেটি আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এগুলো দিয়ে আমরা অন্তত এক লাখ কিট বানাতে পারব। তবে আমাদের টার্গেট দশ লাখ কিট বানানো।’
‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমরা ইংল্যান্ডের রিএজেন্টগুলো হাতে পেয়েছি। অন্য দেশের রিএজেন্টগুলোও একটু একটু করে আমাদের হাতে আসতে শুরু করেছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দ্যা নেটিভ অ্যান্টিজেন কোম্পানি চেয়েছিল নিয়মিত কার্গো বিমানে রিএজেন্টগুলো পাঠানো সম্ভব না হলে বিশ্বভিত্তিক ডাক পরিষেবা ‘ফিডেক্স এক্সপ্রেস’ (FedEx Express)- এর প্রাইভেট কার্গো বিমানে করে ৬ এপ্রিলের মধ্যে রিএজেন্টগুলো ঢাকায় পাঠাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাও করতে পারেনি তারা। উপায় না দেখে ৫ এপ্রিল চীন থেকে দশ কেজি রিএজেন্ট আমদানি করে গণস্বাস্থ্য।
চীন থেকে আমদানি করা রিএজেন্ট দিয়ে দশ হাজার কিট তৈরি করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। সেই কিট অনুমোদনের জন্য ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এরই মধ্যে এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের জন্য বিএসএমএমইউকে অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন।
এদিকে শনিবার (২ মে) বিএসএমএমইউ’র ভিসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পের তিন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল, ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার ও ড. নিহাদ আদনান।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের এই দৌড়া-দৌড়ির মধ্যেই শনিবার সকালে ইংল্যান্ড থেকে রিএজেন্ট এসে ঢাকায় পৌঁছেছে। যে রিএজেন্ট দিয়ে আরও এক লাখ কিট তৈরি করতে পারবেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। সারাবাংলা।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি