করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিক্স ও ওয়ালটনের কারিগরি সহযোগিতায় দেশেই তৈরি হয়েছে বিশ্বমানের পিবি ৫৬০ মডেলের স্পেসিফিকেশনে ‘ডব্লিউপিবি ৫৬০ ভেন্টিলেটর’।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে এই ভেন্টিলেটর তৈরি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ওয়ালটনের তৈরি ভেন্টিলেটরের ৩ মডেলের ফাংশনাল প্রোটোটাইপ শিগগিরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হবে। তাদের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই ওয়ালটন পরীক্ষামূলক ও বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, ফাংশনাল প্রোটোটাইপের তিনটি ভেন্টিলেটরের মধ্যে একটি ওয়ালটন মেডট্রনিক্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছে। অন্য দুটি ওয়ালটনের নিজস্ব উদ্ভাবনী। মেডট্রনিক্সের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি ভেন্টিলেটরের নাম দেওয়া হয়েছে ডব্লিউপিবি ৫৬০। আর ওয়ালটনের নিজস্ব উদ্ভাবনে তৈরি ভেন্টিলেটরের নাম ‘ওয়ালটন কোভিড বিল্ড ভেন্টিলেটর ২০২০’ বা ডব্লিউসিভি-২০ এবং ডব্লিউএবি-২০’।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি, করোনা মহামারি খুব দ্রুতই শেষ হবে। কিন্তু মহামারি দীর্ঘ হলে আমরা দেশে তৈরি মানসম্মত ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে চাহিদা পূরণে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব থেকে ১৮টি ভেন্টিলেটর তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর মান যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’
পলক আইসিটি বিভাগের উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মেডট্রনিক্স ও ওয়ালটনের সঙ্গে সমন্বয় করায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটনের প্রতিনিধি গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘এফডিএ সার্টিফাইড এ ভেন্টিলেটরটির যন্ত্রাংশের যোগান দিচ্ছে মেডট্রনিক। তারা পাঁচটি দেশের ৫টি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উৎপাদনে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এ ভেন্টিলেটরের সংযোজন হবে ওয়ালটনের কারখানায়।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে যুক্ত ছিলেন আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, ওয়লটনের ভেন্টিলেটর প্রকল্প প্রধান প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, লিয়াতক আলী, ওয়ালটনের পরিচালক লিয়াকত আলী প্রমুখ।