বর্তমান যুগ তথ্য প্রযু্ক্তির যুগ। তথ্য প্রযু্ক্তিকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার মানকে করেছি আরো উন্নত ও সহজতর। প্রযুক্তির যেমনটি সুফল রয়েছে আমাদের প্রাতাহ্যিক জীবনে। ঠিক তার অপব্যবহারে কুফলের পরিমানটাও কম না। বিশাল এই অনলাইন বা প্রযুক্তির প্লাটফর্মে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আপনাকেই। আপনার নিরাপত্তার কলকব্জা রয়েছে আপনারই হাতে। কিভাবে থাকবেন অনলাইনে নিরাপদ ?
আসুন জেনে নেয়া যাক একটু সচেতন হয়ে অনলাইনে নিরাপদ থাকবেন যেভাবে-
পাসওয়ার্ড: আমরা অনেকে abcd123 অক্ষরগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। যা মোটেও নিরাপদ নয়। এসব পাসওয়ার্ড বাচ্চারাও ভেঙে ফেলতে পারে অনায়াসে। পাসওয়ার্ড এমন একটা দিন যেটা আপনি সহজে মনে করতে পারবেন, কিন্তু আর কেউ পারবে না। ক্যাপিটাল আর স্মল লেটার, সংখ্যা, চিহ্ন এগুলা মিলিয়ে পাসওয়ার্ড বানান। পাসওয়ার্ড কখনও কাগজে লিখে টেবিলে লাগিয়ে রাখবেন না। মাথার মধ্যে রাখুন।
ই–মেইল/ফিশিং: হ্যাকাররা আপনার তথ্য চুরি করতে কত কিছুই না করে থাকে। কেই ই-মেইলে কোনও লিংকে পাঠালে সহজে ক্লিক করবেন না। অ্যাটাচমেন্টও ভাইরাস স্ক্যানিং করে তবেই খুলবেন। কোনও সাইটে পাসওয়ার্ড দেওয়ার আগে খেয়াল করে নিবেন আসল সাইট কিনা, ব্রাউজারে আসল সাইটের নাম দেখাচ্ছে কি না।
টোপ হিসেবে ফেসবুক : ফেসবুকে কোন অবান্তক লিংক, ছবি, ভিডিওতে প্রবেশ করতে যাবেন না। এতে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট হারাতে পারেন অথবা আপনার সব তথ্য চুরি করে হ্যাকাররা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। আপনার কোন বন্ধুর নামে খবর পোস্ট করলেই অভ্যাসবশত সেখানে ক্লিক করে বসবেন না। এতে বিপদে পরবেন।
থাম্ব ড্রাইভ/ ফ্ল্যাশ ড্রাইভ: সব সময় অন্যের অচেনা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কম্পিউটারে ঢোকানোর আগে স্ক্যান করে নিন। এগুলো ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম। অটোপ্লে/অটো-রান এগুলো ডিজেবল করে রাখুন।
সিস্টেম আপডেট: আপনার কম্পিউটার সিস্টেম ও অ্যান্টি ভাইরাস নিয়মিত আপডেট করুন। এতে করে আপনার সিস্টেম সুরক্ষিত থাকবে। সব সময় সঠিক ও কার্যকারী এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করুন।
মোবাইল ফোন: আপনার মোবাইলের নিরাপত্তার জন্য পিন লক নামের একটা অপশন মোবাইলে আছে। মোবাইল ফোনে পিন লক চালু করেন। প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ এটা করে না, ফলে ছিনতাই/চুরি হলেই আপনার সবকিছু তাদের দখলে চলে যাবে।
লগ–আউট: অফিসিয়াল বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমরা অনেকে সাইবার ক্যাব অথবা অন্যকোন পাবলিক কম্পিউটারে বসে কোনও অ্যাকাউন্টে (ফেসবুক, ই-মেইল) লগ-ইন করে থাকি। যে না করাই সবথেকে ভালো। আর যদি নিতান্তই বসতে হয়, তবে অবশ্যই কাজ শেষে লগ আউট করে দিন ।
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: ফোন অথবা ই-মেইলে আপনাকে নানা ভাবে বোকা বানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চেষ্টা করবে প্রতারকরা। কেউ বলবে “আমি… ব্যাংক থেকে বলছি, আপনার পাসওয়ার্ডটা দিন। আমরা ওটা আপগ্রেড করে দিব। তা না হলে আপনি ওটা ব্যবহার করতে পারবেন না।’ কখনও আপনাকে কেউ ফোন করে ব্যাংকের বা এরকম কোনও কোম্পানির কর্মকর্তা দাবি করলে বিশ্বাস করবেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের কলকে এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন। কারণ যে কেউ নিজেকে ব্যাংকের লোক বা কোম্পানির কর্মকর্তা দাবি করে প্রতারণা করতে পারে।
সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। আশা করা যায় উল্লোখিত পয়েন্টে গুলোর উপর সতর্ক থাকলে অনলাইনে নিরাপদ থাকা কিছুটা হলেও সম্ভব।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি